মহাজগৎ অনবরত দেয় অনিচ্ছা, অপারগতা এক বিবৃতি,
আদি থেকে অনন্তকাল অফুরান বঞ্চিত বিরহ স্বীকৃতি।
বারংবার সে জানান দেয় অসীম অনন্ত গহ্বরে পতিত,
অসীম এ যাত্রায় সে কালে কালে অনীহা তবু আহত।
সীমাহীন পরিশ্রম ক্লান্ত প্রাণ এক তার,
শ্রান্তির শিরা-উপশিরা নেয় শপথ না ফেরার।
বিস্তৃতকে গ্রাস করে মাহাশূণ্যতা,
অনাবরত মুমূর্ষের এটা বাস্তবরূপে বাস্তবতা।
অসংখ্য উদিত সূর্য খুঁটে খায় তার পিঞ্জর,
উদরে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া চালায় পাপের খঞ্জর।
কেহ বোঝে না বাস্তব সীমাহীন এ বিবৃতি,
এ শূণ্যতা যে ধারনাহীন অসীম আকৃতি।
কোটি জ্ঞানী মাঝে সামান্য সূর্যতত্ব হয় বিকৃতি,
অন্ধ এ সমাজে আজও বেষ্টিত কুসংস্কৃতি।
নিরপরাধ সত্য অযথা শেয়াল-শকুনের ছোবলে
বলি, লজ্জাহীন আবরনে আচ্ছাদিত দেবলোক,
সামান্য ভূতত্ব, নৃতত্ত্ব, সৃষ্টিতত্ব এমনকি অসীম
যাত্রার ধর্মতত্ব যুগে যুগে করে ব্যবচ্ছেদ
কালে কালে অগ্রযাত্রা হয় ব্যাহত।
সর্ববৃহৎ ভারি বস্তু স্কন্ধে প্রাণহীন তনয়
নাই কোন ছায়া শোক।