প্রত্যাশার সাগর শুকিয়ে মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে,
প্রত্যাশা আর কষ্ট সমান্তরালে চলছে
আশেপাশে প্রিয়জন, প্রয়োজনের আত্মরং,
পৃথিবীর চির সত্য
নিয়মে দিবা রাত্রিতে মিশে যাচ্ছে
এখনই যার মন সূর্যোদয়ের পরে দিনের মতো নির্মল,শুভ্র
ক্ষণিকেই তার মনের রং সূর্যাস্তে
রাতের আঁধারের মতো তমিস্রা।
কে সুষ্কৃতিকারী? কে বা দুষ্কৃতকারী?
কে মানুষ? কেই বা অমানুষ?
এ জটিল সমীকরণ আজ চরম
জটিলতায় রূপ নিয়েছে,
কারোর আসল রূপ-রং, বেশভূষা চেনা যাচ্ছে না।
মাঝে মাঝে মনে হয় চিৎকারে নেমে আসুক মহাপ্রলয়,
নেমে আসুক অতিবৃষ্টি, বন্যায় ভেসে যাক
তাদের মিথ্যে চর্চার মঞ্চ, ভেসে যাক
তাদের মিথ্যে চর্চার উপকরণ
আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে বলে দিই,
আমি অসাড়, অনড়, পাথর হয়ে গিয়েছি।
পৃথিবীর কোনো প্রত্যাশা নামক দুর্বলতা
ছুঁয়ে বশিভূত করতে সক্ষম হবে না।
কারোর প্রতি মায়া, মমতা, ভালোবাসা,
অনুভূতি ; অনুভব করার দুর্বল গুণ
হারিয়ে ফেলেছি।
নিজেকে ভেঙে গড়ার সময় ফুরিয়ে গেছে,
মন খারাপের সময় হারিয়ে গেছে,
অ-শুভাকাঙ্ক্ষীর দু-একটা বিষবাক্য
মনকে দু-তিন দিন সহসা গুমোট
করে রাখতে অপরাগ হয়েছে।
আমি নিজেকে সৃষ্টি করেছি, খুব কাছ থেকে
নিজেকে চিনতে পেরেছি, আবিষ্কার করেছি
নিজেকে এক শাণিত পাথরে।
এই পাথরের না আছে প্রত্যাশা নামক দুর্বলতা
না আছে কারোর আঘাতে চিৎকার
করে রোদন করার অপরিপক্কতা, অনন্য এক অনুভূতিহীন
জড় জীবনে প্রবেশ।