দাঁড়িয়ে আছি নদীর তীরে একা একা,সকালবেলা।
আঁখি দু’টি সক্রিয় হয়ে আছে,দেখছি অপলক বিপরীত পাশের বিশাল অট্টালিকাকে।
অট্টালিকার ছবি পানিতে দেখা যাচ্ছে,মনে হচ্ছে পানির নিচেও অট্টালিকা!
হঠাৎ দৃষ্টি ফিরে, দেখছি নদীর বুকে—কী রূপ! অপরূপ!সূর্যের আলোয় ঝিকিমিকি করছে নদীর বুক,বুকে স্রোতে ভেসে যাচ্ছে ক্ষুদিপানা।
পানার নিচে কিছু মাছ করছে খেলা,ছোট ছোট মাছগুলো কী অপরূপ সুন্দর!
বড় বড় কচুরিপানা জোরে রকেটের মতো আসছে,উত্তর দিক থেকে।কচুরিপানার কিছু ফুল ফুটেছে,ফুলের রং যেন বর্ণনাতীত!
সাদা এবং আকাশি রঙের সংমিশ্রণে
কী এক রূপ তার!
কচুরিপানার ফুলের সাথে কি গোলাপের তুলনা করা যাবে?
কী রূপ কচুরিপানার ফুলের!
মনে হচ্ছে আমি স্বর্গে পায়চারি করছি,
আমি পৃথিবীর বাইরে চলে এসেছি।
স্বর্গের মতো সেই নদীর মধ্যে কী সব পানা!
এত সবুজ! চোখ ধাঁধানো!টোপাপানা, কচুরিপানা, ক্ষুদিপানা,কলমি দিয়ে চিরসবুজ নদী।
হঠাৎ শিমুল গাছ থেকে নেমে এলো একদল বক—কী ধবল!মনে হলো, নদীর জল চোখের পলকে দুধের মতো হয়ে গেল।
বাঁশঝাড় থেকে শকুনের মতো উড়ে এলো এক মাছরাঙা পাখি,কী জানি, চোখের পলকে কোথায় উধাও হয়ে গেল সবুজ কচুরিপানায়!
পানকৌড়ি মাছের প্রতীক্ষায়,এদিক থেকে ওদিক ডুবে ডুবে সাঁতার কাটছে।
ডাহুক পানিতে হেঁটে হেঁটে এগিয়ে যাচ্ছে—মাছ ধরবে বলে।
এত সব পাখি, নানান রঙ-বেরঙের চেহারা,নানান কূজন,পুলকিত করে দেয় আমার মনকে।
নিত্যদিন এই নদী পাড়ে দূর্বাঘাসে বসে পুবালি সমীর গায়ে নিতে থাকি,নদীর গন্ধে ভরে যায় মন।
ওপাড়ে ধানের ক্ষেত সবুজ,পাশের আরেকটি ধানের ক্ষেতপেকে হলুদ হয়ে গিয়েছে।
মনে হচ্ছে, এক তরুণী হলুদ শাড়ি পরিধান করে বসে আছে।
আহা! চারিদিক এত সুন্দর!
এই তো আমার মরাস্রোতি।
তুমি এত সুন্দরী! কেন?
ভালোবাসি তোমাকে, মরাস্রোতি!