~বেশ কতদিন যাবত তোমার ফটোগ্রাফ গুলি শুধু দেখেই যাচ্ছি।
তোমার মুখটা শুকনো কাঠখড়ের মত হয়ে আছে।
যেন কতদিন-কতরাত চলে গেছে, মুখে অন্ন দাওনি সামন্য!
আচ্ছা, আদি তোমার মুখটা এমন শুকনো দেখায় কেন?

~আরে ও কিছুনা। কাঠখড় তো পোড়ে ছাই হয়। কই আমি তো হচ্ছি নে?
হিমিকা, তুমি দেখো- আমি ঠিক আছি।

~না, আদি। তোমাকে আর আগের মত দেখায় না! চোখগুলি ভেতরে ঢুকেছে। চেহারায় যেন বিষাদের ছাপ। আচ্ছা, তোমাকে এমন রসহীন, মলিন দেখায় কেন?

~তাহলে কি প্রেম মানুষকে রসহীন, মলিন করে? অপেক্ষা কি করে?
ওই যে কতরাত, কতদিন চলে গেল, তোমাকে বলব বলব বলে যে কথাটা বলার সুযোগ হয়নি।
আলতো করে ছুঁব বলে হাত বাড়িয়েছি কতবার, অন্য হাতটি পাইনি বলে গুছিয়ে নিয়েছি নিজের হাত বারংবার।
দূর হতে তোমাকে দেখব বলে এদিকওদিক তাকিয়েছি শতবার।
ভেতরটা যার এমন করে আস্তে আস্তে আগ্নেয়গিরিতে জ্বলে গেল অথচ কেউ দেখলো না, তার বাহিরটা না হয় কালচে তাতে কি?

~আদি।

~বলো, শুনছি।

~বলছি, আগামীকাল সময় করে এসো! শুষ্ক ঠোঁট, মলিন বদন, চড়ুইপাখির বাসার মত চোখগুলি দেখব। এও দেখব, ভেতরটায় কতটা আগুন আছে। কতটুক জ্বালাতে পারো ওই তপ্ত আগুনে!