ধূলিকণা,
কেমন আছো?
শ্রাবণের ঋতু বর্ষার মতো তুমিও কি পালিয়েছো?
নাকি দুঃখের সাগরে আমায় ভাসিয়ে ভালোই আছো?
সে আমায় ভুলতে পারে কিন্তু তুমি তো পারো না।

ধূলিকণা,
তুমি আমার চলার পথের অগ্নি স্বাক্ষর,
চিরচেনা সেই গানের সুর
তোমার বুকে আছে কত শত স্মৃতি।
ধূলিকণা তোমার মনে পড়ে?
তার হাত ধরে তোমার পথে কত হেঁটেছি।
পাড়া গাঁয়ের সবুজ মাঠ পেরিয়ে শহরের অলি-গলিতে এসেও
আমি তোমার সাথে বাস করছি।

জানো ধূলিকণা,
সে আসবে এই ভেবে আমি পার্কের কোণে বসে থাকি,
পড়ন্ত বিকেলে আজ পার্কের কোণটা লাগছে ফাঁকা,
বসে আছি আনমনে, এই নির্জনে ভাবনার জালে একা একা।
ধূলিকণা তোমার পথে আমি তাকে হারিয়েছি
চলার পথে আজও তাকে রাস্তার এপাশ-ওপাশ খুঁজি।
কেমন আছে সে? ধূলিকণা বলবে কি?
পৃথিবীর সব অজানা রহস্য জানতে ইচ্ছে হয়,
তুমি কেন মাটির সাথে করো গড়াগড়ি?
কেনই বা বাতাসের সাথে ছোটাছুটি?
আমি কেন বারবার অবহেলায় পড়ি?

ধূলিকণা,
পূবাল হাওয়ার সাথে তুমিও কি তার মত করে
একদিন উড়ে চলে যাবে কারো বুকে?
নাকি তখন আমার এই দুঃখে ভরা ক্ষত-বিক্ষত
লোমশ বক্ষে আশ্রয় খুঁজবে?