আজকাল আর আগের মত নেই
বিকেলে খেলার মাঠে বসে দূর্বা চিবানো হয়না
ভোরবেলা ঘুম থেকেও জাগিনা।
আজকাল আর আগের মত
বকুল ফুলের ঘ্রাণ নাকের ডগায়
আসেনা
ভোরে উঠে শুভ্র বকুল খুঁজতে
তোমার বাড়ির আঙিনায় যাওয়া হয়না।
আজকাল ধুতরা ফুলের ঘ্রাণও শুকতে ইচ্ছে জাগে
আগের মত আর বকুল খুঁজে না পেয়ে
গোলাপের সুভাষ পেতে ইচ্ছে জাগে
কিন্তু কে জানে?
কেন যেন গোলাপের ঘ্রাণও আজকাল
ধুতরা ফুলের মত নিস্তেজ হয়ে আসছে।
নাকের ডগা কেবল
তোমার বাড়ির আঙিনায় পড়ে থাকা
গাছের নিচে খুঁড়িয়ে পাওয়া
শুভ্র বকুলের ঘ্রাণ পেতে চায়।
শুভ্র বকুলের ঘ্রাণ পাওয়া মাত্র
আবার শুরু করব তোমায় নিয়ে লিখা
বকুলের ঘ্রাণ নাকের ডগায় আসা মাত্র
আমি লিখতে শুরু করব এক অসমাপ্ত কবিতা
যে কবিতা হাসনাহেনা, শিমুল, জুঁই কিংবা জবা,
রজনীগন্ধা দ্বারাও শেষ হবেনা।
সমাপ্ত করতে বড্ড বেশি প্রয়োজন
শুভ্র বকুল।
ভোরে তোমার বাড়ির আঙিনার
গাছের নিচে খুঁড়িয়ে পাওয়া সেই শুভ্র বকুল!
লিখব অসমাপ্ত কবিতা
যা শতশত কবি সমাপ্ত করতে ব্যর্থ
আর তাই সমাপ্ত করতে
বড্ড বেশি চাই, চাই শুভ্র বকুল।
দিবে, দিবে আমায়?
অযতনে তোমার বাড়ির আঙিনায়,
গাছের নিচে, রাস্তায় পড়ে থাকা, কিছু শুভ্র বকুল?