বালিয়াড়ি পেরিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাই—  
ধুলোবালি মেখে ফেলে আসা এক প্রান্তরের জীবন,  
কিছু ক্লান্তি পায়ে জড়িয়ে থাকে—  
আকাশের কোণে জমে ওঠা মেঘের মতো।  

শুকনো ঘাসের গায়ে লাগে ধুলোর হাওয়া,  
একটু দূরে নদী—তার স্রোত নেই আজ,  
শুধু বালির গন্ধে মিশে থাকে শূন্যতার স্বর।  
এই পথে কতদিন এভাবে হেঁটে যাওয়া—  
কেউ জানে না; আমি-ও না।  

কিন্তু হঠাৎ দমকা বাতাসে কেঁপে ওঠে মন,  
একটা ঝড় আসবে—এই পূর্বাভাস বুকে নিয়ে  
আমি থামতে চাই; ঈশ্বরের কাছে চাই একটু সময়,  
একটু নিঃশ্বাস—ঝড়ের আগে জিড়িয়ে নেওয়ার  
একটা মুহূর্ত, যতটুকু হলে পথের ভার কমে যায়।  

এই বিশাল আকাশের নিচে, ধুলোবালি ছুঁয়ে—  
আমি দাঁড়িয়ে থাকি, যেমন দাঁড়িয়ে থাকে  
শূন্য মাঠে একলা কোনো ঘাসফুল,  
ঝড় আসুক—তবুও তার আগে  
নিজেকে একটুখানি বুঝে নিতে চাই।  

ঝড় এলেই কি সব ভাসিয়ে নেবে?  
নাকি আমি থেকে যাবো—  
যেভাবে সন্ধ্যার আকাশে রয়ে যায়  
এক ফালি রঙ, ঝড় পেরিয়ে।