হেমলতা,

শহরের বাতাস বিষাক্ত হয়েছে বহুদিন,
তারও আগে মায়ের চোখ থেকে হারিয়ে গেছে বিস্ময়ের আলো।
অনেক দিন হলো মা বলেনি— "সুন্দর লাগছে,"
আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বুঝতে পারি না,
নিজেকে এখন ঠিক কেমন লাগে।

সেদিন বললে— "তুমি শুকিয়ে যাচ্ছ,"
আমি আয়নায় দেখি, রোদের নিচে কেবল ছায়া হয়ে গেছি কি না।
বাবা বললেন— "আর কতদিন লাগবে কিছু একটা হতে?"
আমি কিছু বলিনি, যেমন ঝড়ে উড়ে যাওয়া পাতারা কিছু বলে না।

তোমার বিয়ের কথা হচ্ছে—
তুমি জানো, আমি কোনো স্নিগ্ধ মাঠে দাঁড়িয়ে নেই,
শুধু দুষিত বাতাসের শহরে আরো দুষিত নিকোটিনের ধোঁয়া গিলে চলেছি।
এখন ভোর আর সন্ধ্যা একরকম— দু’দিকেই কেবল ধূসরতা।

এখানে বাতাসেও স্নেহ নেই,
তোমার হাতের ছোঁয়া নেই ধুলোমাখা চুলে,
তাই চোখদুটো কেবল হর্ন বাজিয়ে ছুটতে থাকা গাড়িগুলোর পেছনে ছুটে বেড়ায়।
তারা থামে, আবার চলে— কেবল আমি থেমে গেছি।

ইদানীং আমি ভালো নেই, খারাপও না।
আমি নিরুত্তর—
শুধু প্রাণ ভরে দু’মিনিট নিশ্বাস নিতে চাই।

ইতি,
আমি