রক্তাক্ত বাংলাদেশ শুয়ে আছে।
জনহীন রাজপথে
কয়েকশো পুলিশ ট্রাক,হেলমেট
পান্ডুমুখে জিপে টহলরত সেনাবাহিনী
আকাশে মাছির মতো ভনভন করছে বারুদ ভর্তি হেলিকপ্টার।

শান্তি নেই সেদিন থেকেই
যেদিন আবু সাঈদ প্রকাশ্য রাস্তায়
কোটা সংস্কারের দাবি করে
পুলিশের বুলেটে শহীদ হলো।
দেখলাম পাগলা কুত্তা হেলমেট মাথায়
পুলিশের কাঁধে বন্দুক রেখে
নির্বিচারে গুলি করলো ছাত্র জনতাকে।

গুলিতে গ্যাসে
আমরা মরে যাবো না
বারুদে লাগালে আগুন যখন
আমরা দমে যাবো না,
এই বলে পরাণ মাঝি দিলো হায়দরি হাঁক
যেখানে যে আছে, ময়দানে সব এক হয়ে যাক।

রক্তের সাক্ষ্যে ছাত্রদের নতুন শপথ
মুমুর্ষ দেশের করা চাই সংস্কার
শিকলে বেঁধেছ, গণগ্রেফতার
তোমাকে লাল কার্ড স্বৈরাচার ।

বিঁধে দিবে লক্ষ হাতিয়ার
রক্তের জবাব তবুও চাই,
বৈষম্যের মুক্তি চেয়ে
শহীদ কেনো আমার ভাই?

লাল উল্কি টেনে ডাকো
শোক দিবসের আহ্বান,
এই মঙ্গলবার হেসে নাও
সামনে যদি না পাও প্রাণ!

তোমার বুলেট ভুলিয়েছে সংশয়
সবাই মৃত্যুদূত করছে তলব
রক্তের দাগে মরিচা যেনো মুছে
সতেজ হোক বাংলাদেশের ক্বলব!

আমার কি প্রাণ আছে
এভাবে বাচা লজ্জার
গ্রেফতার,রাজাকার
কোথাও নেইকো পার!
মরণকে দিয়ে ধিক্কার
আয় হটাই স্বৈরাচার।