রোঁদে ভঁরা-তবুও বর্ষার দুপুর,
পাশাপাশি দুজন,
আলতো হাতটা,কখনও ঠোঁটে,কখনও গালে,
কথা দুটো মাঝে ফাঁকে।

বাতাস ছোঁয়া হাল্কা চুমু দিলে তুমি,
বললে না কিছুই-ভেজা চোখে ডাকলে নেশায়,
আমিই অচেনা আমার কাছে,
অজানা,হারানো এ কোন পৃথিবী।

‘ভালবাসি,ভালবাসি আমার ইন্দ্রাণীকে’,
দেবী ভালবাসার,
শরীর ছড়ানো কামনা,
লুকোনো জীবনের গান,সৃষ্টির আগামীকাল।

ঘুমোট বাতাসে ঠোঁটটা ঠোঁটে,
জিভ খুঁজে নিল যৌবনের স্বাদ
বাঁধন হারা হাতটায়-স্তনের দেশ।

একদলা নরম মাখনে-সাজানো ফুলের কুঁড়ি,
বোঁটা ছোঁয়ায় শিউরে উঠা শরীর দুটো,
কথা ছাড়া সুরের নাচন শুধু।

আলতো হাত খেলায় মত্ত,
স্তনে জঙ্ঘায়,
ভেজা শ্যাওলার অজানা গুহায়,
অজানা কে,কি লুকোনো?

অজানা,বেসামাল শরীর,
মহেশ্বর ছুটে গেল পার্বতীর দেশে,
ভগবান আমি সৃষ্টির আনন্দে।


ঘামের শরীর,
অবাক হয়ে দেখি সৃষ্টির আকাশ,
অজন্তার বুক,ভেনাসের হাসি।
রাতের ভগবান সৃষ্টির খেলায়,
মানুষ হয়ে ফিরি ভোরের ডাকে।