হঠাৎ করেই বললো নীলা,
‘জানি না,ভুল কি না,
হয়তো না দেখা আকাশ সুর
হয়তো অজানা আনন্দ খোঁজ,
কেন জানি ভেসে গেলাম আমি,
অজান্তে্র শরীর খেলায়।

যুদ্ধ যে ছিল না মনে,তা নয়,
ছিল অজানা আনন্দ বোধ,
ও যেন অচেনা এক আমি,
ভালবাসা ছিল না যদিও,কোথাও।

একগাদা দ্বন্দ এখন,
আছে অচেনা কান্নার ছোয়াচ,
আছে ফুলের পাপড়িতে ছড়ানো শুধুই রক্তের স্বাদ।

ক্ষমা চাইছি না,চাই না লুকোতে কিছু,
ভাবিনি আগে,তোমার মনের কথা,
বলতে চাই তবুও তোমাকে,
এ তোমার ভালবাসার অধিকার।

বিচার কর,আমাকে না হয়,
তবে এ টুকুও রাখলে না হয় মনে,  
আমি ও তো মানুষ,
ভাল মন্দের মুখ আরেক’।

সেই শেষ দেখা নীলার,
শেষ সংসার কথা,
হয়নি বলা কান্না চোখের মুখটায়,
‘তুমি ভালবাস আমাকে,
ভালবাসায় আমরা যে এক’।

অবাক যে হইনি তা নয়,
ভেসে যাইনি দুঃখ স্রোতে,
নীলা অসহায় কাঠগড়ায় ,
আর বিচারক-আমি তার।

মেনে নেয় নি আমি,
পারিনি মেনে নিতে-শরীর ছোঁয়ার আরেকজন,
ভোলা কি যায়,
ভালবাসা,সে তো আকাশ অনাবিলতার।


ভুলে গেলাম,আমার নিজের কথা,
আমার শরীর খেলার কথা গল্প,
আছে অধিকার আমার নতুন হওয়ার,
আমি তো পুরুষ এক।

পারিনি আমি মানুষ হতে,
ভগবান তখন আমি আবার,
আছে নীলা কোথাও আজ-সংসার গল্পের আরেকজন,
খোঁজেনি, হয়তো আর,আকাশ ভালবাসার,
হয়তো জানে নীলা ভালবাসাও আছে হিসেব।