মাধবী
চিঠি---4
মাধবী,এজনমে বোধহয় তোকে আর ছাড়া হোলনা।
হবেও না।দেখিস না কাকতালীয় ভাবে সবসময় তুই আমার সাথে সাথে।তুই কেন বুঝিস না,মাধবী!
কিসে আমার কষ্ট হয়?
আমার মন খারাপ হয়ে যায়!আমি
জানি তুই যা করিস ওটা স্বাভাবিক।আমার জন্য কেন তোর
অভ্যাস ত্যাগ করবি?
ত্যাগ করতে বলছি না তোকে!তবে আমাকে লুকিয়ে কর!
আমি এই ভেবে তো খুশি থাকব
যে তুই আমাকে ভালবাসিস!
আমাকে ভাল রাখার জন্য একটু
না হয় অভিনয় করলি!
তুই ভালবাসিস না,তাই তোর কিছু মনে হয়না!
আমার হয় মাধবী!
ভালবাসা কি পাপ?মাধবী!
বোধহয় জোড়করে অন্যায় ভাবে
ভালবাসা পাপ!
নইলে তোর এত ভীরুতা এতো চোর চোর ভাব কেন?
তাইজন্য তো বলি একবার মুখ ফুটে বল---"ভালবাসি না"।
আমি চলে যাব!একদম নির্বাসনে!
কোনদিন আমাকে কোথাও আর দেখতে পাবি না!
তিন সত্যি করে কথা দিলাম তোকে!
আমি তো কিছু চাইনা তোর কাছে।
তোর শরীর চাইনা তোর মনটা চাই!
তুই আমার কাছে সাতরাজার ধন
এক মানিক(তুই মেয়ে তাই মনিকা)!
তুই আমাকে মন দিয়ে উজাড় করে ভালবাস না একটু!
তুই আমাকে বৃষ্টিতে ভেজার স্বপ্ন দেখা!বাস্তব বোধ হারিয়ে আমাকে
অবাস্তবের স্বপ্ন দেখা মাধবী!
কল্পনায় তোর হাত ধরে শিশির ভেজা সবুজ ঘাসে পা ডুবিয়ে কচু-
পাতা দিয়ে ফড়িং ধরি চল।
তোর ও তো রক্ত মাংসের শরীর,
এমন চিঠি পড়েও তোর মন খারাপ করে না?তোর কেন আমার জন্য মন খারাপ করে না?
বলবি একদিন,মাধবী!
তোকে নিয়ে কত আবোল- তাবোল ভাবি।ভাবি গ্রামে ভেরান্ডার বেড়া দেওয়া কাদা গোবর দিয়ে লেপা একটা বাড়ী থাকবে আমাদের।
একটা পুকুর থাকবে।পুকুরে হাঁস
দল বেঁধে সাঁতার কাটবে।
বাড়ির চা-রি-দি-কে আম-জাম-লিচু-কাঁঠালের গাছ থাকবে।
জমির আলে ছাগল বাঁধা থাকবে।
মাঝে মাঝে ছাগলটা আনমনে যখন একদিকে চেয়ে থাকবে মনে হবে যেন কোন এক দার্শনিক একমনে ক-ত কি-ছু চিন্তা করছে।
তাই দেখে তুই আর আমি ভী-ষণ
হাসব।
ওই হাসিটাই আমাদের আরও একবার কাছে আনবে!অবেলায়!
যখন-তখন!
আমি তোকে আদরে আদরে ভরিয়ে দেব!
আমি জানি তোরও আমার এই দস্যিপনা ভাল লাগবে,তবুও তুই
আমাকে শয়তান বলবি,বনমানুষ বলবি।
দূর কি সব ভাবছি।
তবে সবটাই সত্যি হতে পারত
মাধবী!হ্যাঁরে মাধবী!সবটাই!!