আমাদের সেই পুরোনো বাড়ির সাবেকি ছাদে
দাঁড়িয়ে আছি নিঃসঙ্গতা কে সঙ্গী করে
অস্ত যাচ্ছে সূর্য হুগলী সেতুর সেই ওপারে।
দিনের সব আলো ঘন কালচে লাল বলের শরীর নিয়ে
নামতে থাকে ক্রমশঃ দিগচক্রবালের খাদে
নিভে যাওয়া আলোর বিভা গায়ে মেখে
ক্লান্ত আকাশ যেন খেদহীন উদার সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী।
লাবণ্যময়ী,সেতার বাজাতে পারা মাধবীলতা
অকাল বৈধব্যে আমার সন্তান
খেদহীন আকাশ হতে দিল না!
একটা বাজপড়া সুঠাম গাছ,পত্রহীন,
কঠিন আঘাতে খানখান কান্ড!!
তবু নিশ্চল দাঁড়িয়ে!
নতমস্তকে চলাফেরা সীসে রঙের বিবর্ণতা মুখে
অযত্ন লালিত উদাসীন কেশ!
নীরবতা হয়ত নিয়তির উপর তীব্র ক্ষোভ
আর অবাঙ্মুখ বিস্ময় একটা!
কি যে সব গেল ঘটে কোথা থেকে!