ভাবনার চাদর গায়ে
হেঁটে চলা কাব্যতীর্থের পথযাত্রী,
কবিতার রোদ -বৃষ্টিতে যার নিত্য স্নান।
.
তন্ময়তার জলধির গহীন হতে
আত্মার ব্যাকুলতায়
ঝিনুকের ভেতর মুক্তো খুঁজার নিমগ্ন প্রার্থনা _
সোঁদা-মাটির গন্ধের ভেতর
হতে শব্দরা ধরা পড়ে,
ঝরে পড়া হলদে পাতার রঙ্গে জ্বলে উঠে উপমার বিজলি বাতি,
প্রকৃতির শরীরের ভাজে ভাজে ধ্বনিত আন্দোলিত ছন্দের ঊর্মিমালা।
.
দেয়ালে সাঁটা ক্যালন্ডারের পাতা হতে ভোরের শিশির বিন্দুর মতো
নিভৃতে ঝরে পড়ে কালের কুসুম,
আকাশের রং বদলায়
পাল্টে যায় নদীর গতিপথ,
বিরান মরুচরে অঙ্কুরিত হয় সঞ্জীবনীর চারাগাছ,
কবিতার পুষ্পকুঞ্জে লাগে ভরা বসন্তের হাওয়া।
.
অতঃপর তীর্থযাত্রীর যাত্রা শেষে
একদিন হেসে উঠবে
দশমীর পূর্ণ চাঁদ,
ধ্যানমগ্নতার বোধিবৃক্ষ তলায় রচিত হবে
যুগান্তরের শাশ্বত কথামালা।