কথার উষ্ণতায় কনকন ঠান্ডায় রক্তে তাপ সৃষ্টিতে
তুমি চতুর; আমি কল্পণায় তোমার সিঁথি কাটি,
রাত তখন প্রায় দুপুর গড়িয়ে; কাঁপা কাঁপা কন্ঠে
কি গো!  চুপ কেন??
না, চুপ না হয়ে কি করি!
যদি তাই না হয়; কিছু বলছ না যে!
যদি বলি তবে তোমার কম্পিত ঠোঁটের
রসদড়কা অনুভব নিব কি করে!

আহ! শান্তি দিলে কথার ছলণায়, কভু কি হবে না স্পর্শ?
তোমার সানিধ্য হিয়ায় বাজে সুর, কিন্তু সমাজ নামক
প্রাচীরে ঘেরা বিবেক।
তবে তোমার দেহের গন্ধ কি পাবো না?
হত দরিদ্র মনে শুধু কল্পণাই কামের আল্পনা আঁকে।
সাহস নেই তোমার!
সাহস! নাহ!  ভয়!! ফের যদি সম্পর্ক নষ্ট হয়!
মোটেও না। যে যা বলুক, আমি গন্ধ নিতে চাই
নিভৃত মনে উলঙ্গ চাহনীতে।

কি বিষাদ জ্বলছে জীবনের দক্ষিণ কোণে
লাল, নীল কত রঙ সবার মনে, হবে না
পাওয়া কৃষ্ণচূড়া ঢঙ। রাত যায় মাঝ নদীতে
একলা মাঝির ভাটিয়ালে গানে, সকাল কষ্টের ঝিলিক
তাই তোমার ইচ্ছে আমাতে শরৎ কাশফুল।

শুনো! আমার খুব তৃষ্ণা, আমি প্রেম রস
পেতে চাই, তৃষ্ণাহীন হতে চাই তোমার একান্ত জলে
দেহের এই আকুলতা তোমার পানে
তুমি শুনছো আমার নিঃশ্বাসের গর্জন, ভেস্তে দিও না
একটু সাড়া দাও, আজ নিরাকার হতে চাই।

লেবুর রস আমি, কখনো টক আবার চিপলে তিতে
কলঙ্ক নিও না। সইতে পারবে না অবশেষে।
ভুলের হয়তো প্রকাশ তবুও বলি,
গোখরার মত আমার জিহ্বার অগ্রভাগ
কেমন যেন করছে, ছোবল দিতে ইচ্ছে করছে
তোমার নরম নগ্নতায়, কিন্তু আমি অসহায় খুব
অন্যতে কথা দিয়েছি, তার হয়ে থাকবো চিরকাল।

মানতে পারছি না, যন্ত্রণা হচ্ছে তোমায় একান্তে
পাওয়া, এই নির্জনে কেউ দেখবে না। একটিবার
সুযোগ দাও। আজ হারাতে চাই নিজের মত করে।

পাগলমী করতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে, স্বর্নলতিকা হতে
মন টানছে শতবার। তবুও আমি অসহায়।
ধর্মের দোহাই প্রাচীর তোমার-আমার।