মাটি ঘেরা টিন ঘরে এখন বৃষ্টির ঝুমঝুম শব্দ হয় না,
উঠানের ঠিক দখিনে টক-মিষ্টি বড়ই গাছটিও নেই,
বৌঠানের কাঁকে কলসী সাজে না অনেকদিন হলো,
কেরসিন তেলের চেরাগ এখন শো-পিস, হারেকিনটিও টিপটিপ জ্বলে না,
ডাকপিয়নের সাইকেলে টিংটিং আওয়াজ এখন অচেনা,
বেয়ারারাও কোথায় যেন হারিয়ে গেল,
রেডিও যেন এখন বিরক্তকর যন্ত্র,
সোনালী আঁশের রচনাও লেখা হয় না,
গোল্লাছুট, দাঁড়িয়াবান্ধা এখন কেউ চিনে না,
শুক্রবারে সাদা-কালো টিভি দেখার অপেক্ষায়ও থাকা হয় না,
আইসক্রীম কিম্বা লেইসফিতা বলে কেউ ডাকে না,
গ্রীষ্মের গরমে তালপাতার পাখাটিও অযত্নে পড়ে আছে,
বৈশাখী মেলার জন্যে রসুইঘরের বাঁশের খাঁচে পয়সা জমা পড়ে না,
বাবার চোখ রাঙানো, মায়ের বকুনিতে খাটের নিচে এখন লুকাতেও হয় না,
কিশোরদের দস্যিপনা এখন নেই,
জৈষ্ঠ্যমাসে খড়ের নিচে পলান টুকটুকও খেলা হয় না,
কনকন শীতে খেজুরের রস চুরি হয় না,
রাখালের বাঁশিতেও এখন সুর নেই,
কালের বিবর্তনে সবকিছুই কৃত্রিমতার ছোঁয়ায়
তাই এখন মানুষগুলোও যন্ত্র মানব।
২৩ঃ১৫
১৬/০৫/২০২১ইং