ঠক! ঠক! ঠক!
কে?
আমি সাতকোটি মানুষের অর্জিত একটি মানচিত্র।

কি চাও আমার কাছে?
তোমার পঙক্তিতে একটু আশ্রয় চাই,
শব্দের গাঁথুনিতে, প্রতিবাদী বাক্য প্রনয়নে
আমি আবার মুক্ত হতে চাই।

ও আমার সাহস নেই
সাহস থাকলেও সাধ্য নেই
সাধ্য থাকলেও উপায় নেই
উপায় থাকলেও নীতি নেই,
তাই কলমের কালীও ভয় করে প্রতিবাদ তুলতে।

দেখ! আমি নিপীড়িত, নির্যাতিত, ধর্ষিত হয়ে তোমার কাছে এসেছি,
আমাকে একটু আশ্রয় দাও।

আমি নেতা নই
আমি অতি সাধারণ,
তোমাকে কি করে আশ্রয় দিবো!

আমি নেতাদের দাপটে মানবতা হারিয়েছি,
আমি শ্রমিকের ঘামে ভিজছি
আমি ছিন্নমূল মানুষের কষ্ট বহন করে হাঁটছি
আমি রাতভর বেশ্যাদের গল্প শুনছি
আমি হিজড়াদের অভিশাপে ভুগছি
আমি লক্ষ যুবকের বেকারত্বের আগুনে জ্বলছি
আমি বকধার্মিকের রোষানলে মুক্তমনাদের ফেলছি,
আমি ধর্ষিতা তরুণীর রক্তে রঞ্জিত হচ্ছি
আমি রাজনৈতিক চোরের চুরিতে ন্যায় বিসর্জণ দিচ্ছি
আমি কোটি জনতার অশ্রুপাতে ভেসে বেড়াচ্ছি,
তাই আমি একটু আশ্রয় চাই, আমায় আশ্রয় দাও।

দেখ! নেতা আছে, আমলা আছে, সরকার আছে
তাদের কাছে যাও।

নেতা, সরকার, আমলা!
তারা তাদের রাজপ্রাসাদ গড়তে ব্যস্ত,
শুধু ফটোশুটে আমিময় তাদের প্রেম তাই
অতো শত বুঝি না,
আমি রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জসীমউদ্দিনের কবিতার মত বাঁচতে চাই,
আমাকে মুক্ত করো, বাঁচাও
নচেৎ আরেকটি মুজিবুর আমায় এনে দাও।