এখন বড় দুঃসময়
সময়ের স্রোতে একাকী চলা,
এই চলার পথে জীবনের গল্প শুনতে
কেউ কাছে আসেনি,
বরং হাসির অবহেলায় তাড়িয়ে দিতে
একটুও দ্বিধাবোধ করেনি।
এখন বড় দুঃসময়
কেউ জিজ্ঞেস করেনি
দু'মুঠো খেয়েছি কি-না,
কেউ জানতে চায়নি ভিতরের কষ্ট জ্বালা।
এখন বড় দুঃসময়
বড় বড় অফিসগুলোতে "নো ভেকান্সি"
সরকারি কর্মে লাখ টাকার কারসাজি,
একটি চাকরির নেশায় এদিক ঐদিক ঘুরতে ঘুরতে
সার্টিফিকেটগুলোতে অজস্র ভাঁজ পড়েছে,
কিন্তু কেউ কাছে ডাকেনি,
বলেনি, এই অল্প মাইনেতে জীবন চালিয়ে যাও।
এখন বড় দুঃসময়
বলেই বন্ধু-বান্ধব পালিয়ে বেড়ায়
আত্মীয়-স্বজন, দূর-দূর জানায়
কিন্তু জানতে চায়নি কি করে দিন চলে যায়।
এখন বড় দুঃসময়
পান্ডুলিপিগুলোও জীর্ণশীর্ণ ভাবে
এদিক ঐদিক পড়ে আছে,
কেউ জিজ্ঞেস করেনি,
কেন ছাপা হয়নি গল্প কবিতার বই।
এখন বড় দুঃসময়
টাকার হলিতে মাতোয়ারা যারা
তিরস্কার, অবজ্ঞায় মারে তারা,
কিন্তু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি বলে
আজ বড় দুঃসময়।
সঙী হয়নি, যাতনার গল্প শুনেনি,
পান্ডুলিপিও ছাপা হয়নি
তাই এখন অরক্ষিত টানে জীবন পথে একা চলা।