পাওয়ার হিসেবে করে রাখেনি নীলকান্ত
তাই কাটাতারে বন্দি সময়গুলো অবাক চাহনীতে নিথর
জনসমুদ্রে গর্জনে হাহাকারের ঝাঁড় বাত্তি

নীলকান্ত সেইদিন গোঙিয়ে গোঙিয়ে বলছিল তার পাশে বসা জ্বোৎস্নার ছায়াকে
মানবীয় প্রেম, সুখ আর ঘনীভূত চাহিদার পূর্ণতাই কি বেঁচে থাকা?
কতকাল লড়াই করলে মানুষ মানুষ হবে? কতটা রুক্ষ হলে পরিপূর্ণ মানব হবে?

সিগেরেটের আগুনে নিজেকে জ্বালিয়ে
নারীকে শাসন করা মানেই কি বেঁচে থাকা?
চোখের কোণে অশ্রু রেখে
অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পুরুষের বিছানায় সঙ্গী হওয়া মানেই কি সুখ?
ক্ষমতার আধিপত্যই কি প্রকৃত মানবীয় গুন?

কতটা অসহায় আজ নীলাকান্ত
নিজের ছায়াকে সঙ্গী করে
বেড়ি বাঁধে ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে গন্তব্যের অনাহারে খুব ক্লান্ত।

পাওয়ার হিসেব করে রাখেনি নীলকান্ত
না পাওয়ার পাটী গনিত করতে গিয়ে দিস্তায় দিস্তায় কাগজ নষ্ট করেছে
তবুও পাওয়ার হিসেব ভাগফল শূণ্য

নীলকান্ত ভাবছে, কষছে আর জীবন পৃষ্ঠে অহেতুক আঁকাআঁকিতে নষ্ট করছে
দলপতি কিংবা সেনাপতি হয়ে নয়, একজন সিপাহী হয়ে নীলকান্ত জিততে  অথবা যুদ্ধ মাঠে রক্তাক্ত লাশ হয়ে শুকুনের খিদে মেটাতে চায়।

১৪:৫০
১৮/১২/১৮ইং