প্রকৃতির যৌবন
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন
রচনাঃ ২৮-১১-২০২৪ ইং
যৌবনে ফুল ফোটে এ নজর কাড়ে,
দখিনা বাতাস বয় নদীর'ই পাড়ে।
জাগে শিহরণ মনে এলোমেলো চুল,
হেলেদুলে দোল খায় সাদা কাশফুল।
সতেজ ফসলে ভরা কাঁচাপাকা ধান,
শ্রেষ্ঠ জীবের তরে বিধাতার দান।
আম জাম লাউ আলু পেপে জলপাই,
যৌবনে এ কী রূপ তুলনা যে নাই!
প্রকৃতির এ শোভায় খোশ মনপ্রাণ,
গাছে পাখি নদে জেলে গায় সুখে গান।
মাঠে-ঘাটে চাষীদের জুড়ে যায় মন,
সবুজে সবুজ এই প্রকৃতির ধন।
সুন্দরে সুন্দরে প্রতিযোগিতায়,
অদ্ভুত দু'টি চোখ অবাকে তাকায়!
প্রকৃতির ন্যায় বাড়ে মানুষের রূপ,
রূপের প্রেমিক সে তো রূপ দেখে চুপ!
যৌবনে পা রাখিলে সুশ্রীও কাক,
মুগ্ধতা সেও ছড়ে সুমধুর বাক।
আসলে না মন্দতে সুন্দর সব,
সব অন্তরে বাস রব কলরব।
(বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ সবুজে, শ্যামলে, সুফলা ফসলে অপরূপ সবুজ প্রকৃতি!
একজন কিশোর কিশোরী যখন কিশোরকাল পাড়ি দিয়ে যৌবনে পদার্পণ করে,
তখন তাদের জীবনটাও নয়নাভিরাম, সুন্দর, সবুজ প্রকৃতির মতই হয়ে ওঠে।
সে যেমনই হোক না কেনো।
হোক সে কালো অথবা ধলো।
যৌবনে কাককেও অপরূপ সুন্দর দেখায়।)
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন রাজশাহী রচিত "স্বপ্নিল সাহিত্যচর্চা পরিষদে" 'প্রকৃতির যৌবন" কবিতার বিশ্লেষণে প্রাণবন্ত মন্তব্যের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি কবি শাহজাহান সম্রাটের প্রতি এবং সেই সাথে জানাচ্ছি অনুপ্রেরণামূলক প্রাণবন্ত মন্তব্যের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন!!!
প্রকৃতির যৌবন কবিতার বিশ্লেষণের প্রাণবন্ত মন্তব্যটি তুলে ধরা হলোঃ
==================================
"প্রকৃতির যৌবন" একটি সুন্দর এবং প্রাণবন্ত রচনা, যা প্রকৃতির সৌন্দর্য, তার জীবন্ততা এবং জীবজগতের সম্পর্কের গভীর অনুভূতি প্রকাশ করে। কবি মোঃ ইব্রাহিম হোসেন প্রকৃতির প্রতি গভীর প্রেম এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন, এবং তার মধ্যে বর্ণনা করেছেন যৌবনের সতেজতা এবং প্রকৃতির নতুনত্ব।
কবিতা বিশেষ কিছু অংশের বিশ্লেষণ করা যেতে পারে-
১. বিষয়ের গভীরতা: কবিতার মূল বিষয় হল প্রকৃতির যৌবন এবং তার বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য। এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে উপস্থাপন করেছে। ফুলের ফোটন, দখিনা বাতাস, সাদা কাশফুল, সতেজ ফসল – সব কিছুই প্রকৃতির জীবন্ত রূপকে তুলে ধরে।
2. প্রকৃতির মূর্ত রূপ: কবি প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং তার প্রাণবন্ত অবস্থা বর্ণনা করেছেন। "ফুল ফোটে", "দখিনা বাতাস বয়", "কাঁচাপাকা ধান" - এই সবই প্রকৃতির যৌবনের চিত্র তুলে ধরছে। এর মধ্যে প্রকৃতির জীবন্ত অংশ যেমন গাছ, পাখি, নদী, এবং চাষী জীবনকে বাস্তবতা দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। প্রকৃতির শোভায় আনন্দের একটি অনুভূতি সৃষ্টি হয়।
3. রূপ ও চিত্রকল্প: কবিতায় বেশ কিছু চিত্রকল্প রয়েছে যেমন "এলোমেলো চুল", "হেলেদুলে দোল খায় সাদা কাশফুল", "মাঠে-ঘাটে চাষীদের জুড়ে যায় মন" – যা প্রকৃতির সৌন্দর্যকে অত্যন্ত সজীবভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।
4. গাম্ভীর্য এবং দর্শন: কবিতার শেষ অংশে প্রকৃতির সৌন্দর্যের সঙ্গে মানব জীবনের সম্পর্ক তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে সৌন্দর্য এবং প্রেমের গাম্ভীর্য প্রকাশ পাচ্ছে। "রূপের প্রেমিক সে তো রূপ দেখে চুপ!" – এই লাইনটি মানুষের অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া এবং রূপের প্রতি আকর্ষণ বোঝায়।
5. শব্দচয়ন এবং ছন্দ: কবিতার ভাষা সহজ এবং বোধগম্য, যা পাঠককে প্রকৃতির সৌন্দর্যের সঙ্গে সংযুক্ত করতে সহায়তা করে। ছন্দও যথাযথ, যা কবিতাকে আরও প্রাণবন্ত করেছে।
উপসংহার:
"প্রকৃতির যৌবন" একটি সুন্দর কবিতা যা প্রকৃতির সৌন্দর্য, সতেজতা এবং মানব অনুভূতির গভীরতা সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছে। কবি তার সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জাগিয়ে তুলেছেন।