লাশের কান্না
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন
রচনাঃ ০৪-০৭-২০২৪ ইং

জীবনের আয়ু শেষ তেড়ে এলো যম দূত,
বের হলো দম'খান পাশে কাঁদে দারা সুত।
যত ছিলো সম্পদ ইতি হলো এইবার,
হাত ভরে সাথে নেবে আহা কিছু নেই আর!

ছেলে কাঁদে মেয়ে কাঁদে, কাঁদে আরো বিবিজান,
দেহখানা লাশ তবু বুঝে সবই নাই প্রাণ।
ভাবে সেই সাথে যাবে ঝরে যার দু'নয়ন,
কবরের সাথী হবে করে তাই এ চয়ন।

পাশে কাঁদা বিবি ও ছা সরে গেলো হায় হায়!
গোসল কাফনে ছিলো তারাও তো সাথে নাই।
চারজন কাঁধে ফের খাটলিটা নিয়ে যায়,
ভাবে লাশ এরা মোর পাশে রবে ভাই ভাই।

জানাজার তরে সবে জড়ো হলো এক ঠায়,
কাতারে কাতার মিলে শেষ বিদায়ে দাঁড়ায়।
এরপর একে একে চলে যায় দিক দিক,
কাঁদে লাশ তারা কেহ যাবে না এটাই ঠিক।

কবরের মাঝখানে শেষ সাথী তিনজন,
ভাবনা লাশের হয় এরাই তো প্রিয়জন।
শোয়াইয়া গোর মাঝে তারাও তো উঠে যায়,
ভেঙে পড়ে নিভৃতে আজ বড় অসহায়।

কেঁদে কয় নাহি যাও কেউ সাথে থাকো মোর,
আলো বাতি জানালা ও নাই ঘরে কোনো দোর।
কত ধন সম্পদ  দিই তারে ধিৎকার,
ভাবিয়া এতিম একা দেয় জোরে চিৎকার।