কবিতা দিয়ে কী হয়?
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন-রাজশাহী
রচনাঃ ২০-১১-২০২৪ ইং

কবিরা সমাজ ও পরিবারে বহু প্রশ্নের সম্মুখীন।
কবিতা দিয়ে কী হয়?
এমনিতেই বর্তমান সময়ে কবিদের কোনো মূল্য নাই।
কবিদের মূল্য কবিদের কাছেই। ঘরে, বাইরে, সমাজে কোথাও৷ তাদের মূল্য নাই।

তারপরও ঘরে, বাইরে নানান প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় কবিদের।

যেমন,
১। গল্প, কবিতা, উপন্যাস লিখে কর হয়?

২। সময়, শ্রম ও মেধা ব্যয় করে কবিতা, গল্প, উপন্যাস লিখে কষ্ট করে অনেক টাকা খরচ করে বই প্রকাশ করলেন।
লাভ কেমন হলো?

৩। কবিতায় যদি অর্থই উপার্জন না করা যায়, তাহলে বেকার লিখে লাভ কী?

৪।  কবিতায় কি পেটের ভাত জোটে?
যদি পেটের ভাত না-ই জোটে, তাহলে লেখার স্বার্থকতা কী?

৫।  কবিতা কী সংসারের দুঃখ-কষ্ট, অভাব-অনটন দূর করে?
যদি তা না-ই করে, তবে গাধার মত কলম চালানোর কোনো মানে হয়?  ইত্যাদি।

তাদের সব প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে একটাই। আর তা হলোঃ-

লেখক লেখা লিখে প্রকাশ করে অর্থ উপার্জন করে না। করতে পারে না বাড়ি-গাড়ি, জমিজমা ও অঢেল সম্পদ।
তারা লিখে বই প্রকাশ করে সময়, শ্রম ও মেধা খরচ করে কষ্টের লেখাগুলো সংরক্ষণ করার জন্য।

মূল কথাঃ- লেখক তার লেখার দ্বারা মনের ক্ষুধা নিবৃত্ত করে।
সহজ ভাষায় যেমন একজন পুরুষ বা নারীর প্রেমে পড়ার মূল উদ্দেশ্যই হলো দেহের শারীরিক যৌনক্ষুধা নিবৃত্ত করা। তারপর ঘর-সংসার ইত্যাদি।

ঠিক তেমনই একজন লেখকের লেখা হলো তার আধ্যত্মিক মনের ক্ষুধা নিবৃত্ত করা। তারপর অন্য কিছু।
কারণ, একজন ছেলেমেয়ে  যৌবনে উপনীত না হলে তার জীবনে, মনের গহীনে প্রেমের সৃষ্টি হয় না।

আর এ জন্যই একজন প্রেমিক-প্রেমিকা যেমন তার আশিক-আশিকার জন্য ঘরবাড়ি, আত্মীয় স্বজন ছেড়ে জীবন পর্যন্ত বিসর্জন দিতে প্রস্তুত থাকে।

ঠিক তেমনই একজন লেখকও তার লেখার জন্য ঘরবাড়ি ছেড়ে আত্ম সাধনায় বৈরাগী পর্যন্ত হয়ে যায়।
কবিতা প্রেমিকা, কবিই তার প্রেমিক।

আশা করি বিষটি সককেই বুঝতে পেরেছেন যে, কবিতা কবিদের কী দেয়?