জীবনচক্র
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, রাজশাহী
রচনাঃ ১১-০১-২০২৫ ইং, শনিবার।

মাতৃগর্ভে শুক্রাণুতে বাবার ঔরস থেকে,
জন্ম নিলাম ভুবন 'পরে রোদনে মা ডেকে।
ধীরে ধীরে কিশোর হলাম বাক ফুটে মোর ঠোঁটে,
বুদ্ধি হলো একটুখানি মস্তিষ্কে জ্ঞান জোটে।

ছোট্ট বেলায় আম্মুকে মোর আম্মু বলে ডাকি,
বড় হলাম বিয়ের পরে বৌ নিলো ভাগ এ কী!
মা যে তখন হয় শাশুড়ি কিছু দিনের পরে,
আমি যখন বাবা হলাম হয় দাদিমা ঘরে।

দুহিতা পুত বড় হলো হলাম দাদা নানা,
আম্মু তখন হয় বড় মা বলতে কিছু মানা।
বাচ্চা ছেলের মতই করে চলাফেরা তখন,
একটুতে রাগ কান্না হাসি অভিমানে যখন।

বয়সকালে শয্যাতে মা যমের খবর এলো,
রবের ডাকে মৃত্যুপুরে বিদায় নিয়ে গেলো!
মা যে এখন কবর ঘরে একলা কাটে নিশি,
নাই বিছানা আলোর প্রদীপ অন্ধকারে দিশি।

মায়ের কথা স্মরণ হলেই কান্দে আমার নয়ন,
দু-চোখ মেলে খুঁজে ফিরি মলিনে রয় বয়ন।
এখন দেখি মায়ের পথে বাবা দাদা আমি,
প্রাণের প্রিয় বধূর কাছে অচল নামের স্বামী।

আর কিছুদিন পরে যে ফের বড় বাবাও হবো,
ডাক দিবে যম উড়াল দেবো মায়ের মতই রবো।
চক্রাকারে ঘুরছে জীবন মা ছেলেরই মতো,
কেউ রবে না অনন্তকাল সবাই হবে গতো।