গোগ্রামের সেই মেয়েটি
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন

জানতো কি কেউ সেই মেয়েটি এই হৃদয়ের রত্ন!
গড়বে প্রেমের রাজমহল আর পূরণ হবে স্বপ্ন।
আব্দুল অকিল বাবারই নাম দিলারা বেগম মাতা,
ডাগর ডাগর হরিণী চোখ দৃষ্টিশোভন তাকা।

শ্যামলা বরণ গায়েরই রঙ পল্লি গাঁয়ের মেয়ে,
ঝকঝকে তার দাঁতগুলো হায় মন ভরে না চেয়ে।
বিধির লীলায় ভবের খেলায় হঠাৎ হলো দেখা,
নিঃসঙ্গতায় সঙ্গী পেলাম ভাবনাতে নই একা।

চিন্তা মনে সঙ্গোপনে সেই প্রিয়জন হবে,
যুগযুগ ধরে এই অন্তরে চিরদিনই রবে।
ছয়-ই আগস্ট উনিশ শত নিরানব্বই সালে,
শুক্রবারে বাঁধলো বাসা মন-বাগানের ডালে।

আসলো কত বাধা বিপদ সব পেরিয়ে  সে-তো
ঘর বেঁধেছে মন-কুঠিরে সুখের আভাস এ-তো।
দুঃখ সয়ে কষ্ট সয়ে আমারই হাত ধরে,
জীবন যুদ্ধের রণাঙ্গনে জিতলো লড়াই করে।

অচিন পুরের অচিন পাখি নাম ছিলো না জানা,
নুরের আলোই ভরলো মহল বলতে সে নাম  মানা।
এখন যে সে নেত্রী ঘরের আমি পাতি নেতা,
হলেই তাহার হুকুমজারি হয় সবই মোর জেতা।