দৃষ্টি পড়েছে ভিন্ন দৃষ্টিতে
সে সৃষ্টির চোখে শ্রাবণ মেঘের কালিতে, দূর্বোধ্য অক্ষরে লেখা কিছু ভাষা!
জলাঞ্জলি দিয়ে পথগুলো সব দিকভ্রষ্ট নষ্টদের দখলে-
বুকফুলিয়ে হেঁটে আসা বীরেরা সোৎসাহে কেন প্রয়াণ দিলে?
জগতের মহিমায় মহিমান্বিত সুখের নির্বাসন মেনে নিতে,
অদ্যকাল নির্ভার থাকা রক্তশরীর খুবলে খায় সে ভার নিতে!
চুপিসারে পেটের দায়ে হাত কাঁপে- নির্লোভ থাকা ভীষণ চাপ!
অনুশোচনার বিষফোঁড়া আলিঙ্গণেও
থামেনি অকথ্য ভাষার প্রলাপ!
এক-দুইয়ের অংক বুঝে বাহুতে শক্ত প্রাচীর গড়ার খেল-
স্বার্থ হাসিল এ ব্যার্থ শিকল বাঁধে-
দায়েপড়া মনভাঙ্গা বিকেল!
অগোচরে প্রলোভিত স্বপ্নেরা থু-থু ছিটায় প্রত্যহ-
আজন্ম দুঃস্বপ্নের দোহাই দিয়ে বুকে ঝড়তে থাকে বিরহ!
ঠাঁই নেই কোথাও,মৃতসদৃশ স্বপ্নদের সব যত্নে আপন করার মেলা!
আজ জীবন পথের আসক্ত বাসনাও সব মুখ থুবড়ে পথে পড়ার পালা!