মধ্যরাত,শুনশান নিরবতা-
হাসি-খুশি ঝরঝরে মুখটার চোখে বিবাদ-অভিমানের গাঢ় ছায়া-
বিষাদের অসহায় ব্যাপ্তির গভীরতায় ভীষণ আত্নচিৎকার!
চার দেয়ালে আটকে থাকা অনিবার্য সত্য-মিথ্যার ক্রন্দন আর কত কাল?
না থাকার প্রতিক্ষায়- ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে ছুটছি অনন্ত মহাকাল!
দিবাস্বপ্নের অলৌকিক মুক্তঝলক পড়ে যাচ্ছে চোখে!
ইচ্ছের কাছে হারমানা বুকের ক্ষত ঢাকতে কত বাহানা খুঁজবো আর?
নীরহারা পাখির মতো কত সইবো ঝড়-ঝাপ্টার তীব্রতা-
প্রতিশ্রুতির প্রতিফল যবে নিস্ফল হলো এ মনে,
রাত্রির অন্ধকার ছুঁয়ে গিয়েছিল প্রগাঢ় অনুভূতির বিপক্ষে!
হঠাৎ রুদ্ধ বুকে আটকে থাকা নিঃশ্বাস আহবান জানায়-
বসন্তের সে দিনে খেয়ালিপনায় দূর থেকে তাকানোর মুহূর্তের কথা-
বুক চিঁড়ে অঝোর কাব্যের পাতায় নাম লেখার ব্যাথা!
সুনামি উঠেছিল হৃদয় জলাশয়ে-
কালো মেঘ ফুঁড়ে আবেগের মহামিলনে স্বচ্ছ আকাশ বৃষ্টি নামিয়ে ছিলো!
রূপকথায় আঁকা পরীদের আবীরমাখা আচলের সুঘ্রাণ ছিলো!
অগোচরে সরে রাখার হীন প্রতিশ্রুতি তো ছিলো না-
তবে কেন সাজানো পথে নিজের আড়ষ্টতায় কষ্ট পাওয়া?
ভুল শুধরাতে অন্য জগতের মানুষ হতে চাওয়া-
বিশ্বাসী অভিলাষকে অপূর্ণতায় আশ্রয় দেওয়াতে কত সুখ পাওয়া যায়?
জানতে চাই না,চাওয়া-পাওয়ার প্রশ্নে নিজেকে মেলাতে আসিও না-
শব্দের করাঘাতে আমি প্রত্যাখ্যান অভিমুখে অনন্তকাল পথ চেয়ে রইবো!
অভিমান-বিবাদের নিস্তারিনীকে বুক ফাটা চৌচির প্রাঙ্গনে ভাঙ্গন সুরে আবারো গাঁথবো!