বাবা-মা লড়ছে, ঘাম ঝড়ছে
করছে কঠিন শ্রম,
আধুনিকতার কোন ছোয়ায়
চোখে ধরলো ভ্রম?
তিলে তিলে কষ্ট নিয়ে
মানুষ হতে শেখালো
কোন বাসনার তরে তাদের
বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় ঠেকলো?
হে চাকুরিজীবী মনে পড়ে কি
সময়ের প্রক্কালে-
পরজীবি ছিলে এ নিখিলে
বাবা-মায়ের কোলে!
দাও তাড়িয়ে,দাও হটিয়ে-
করছো না খোঁজখবর-
কি কুলাঙ্গার তুমি হায়,
মায়ের গর্ভে ছিলে না নির্ভর?
তাচ্ছিল্যতায় মন ভরিয়ে
ছুঁড়ে ফেলে দাও তাদের,
বিলাসিতায় মন মজিয়ে,
দালান গড়ছো ছাদের।
সুখের মাঝি বৈঠা বেয়ে-
নদী করে দিলো পাড়,
কি অসুখের দিবসযাপনে-
করছে আত্নচিৎকার?
ভিড়বে কি নাও এই আশায়,
প্রহর যাচ্ছে গুণে-
বিলাস ঢেউয়ে মত্ত নাওয়ের
পড়ে না কভু মনে!
পৃথিবীটাকে আপন হাতে-
দেখবে কার আশায়,
নির্ঝর যে হৃদয় কান্না-
ভাসায় তোমায় নিরাশায়?
ক্ষুণ্ণমনে-অশ্রুসিক্ত চোখে-
কেঁদে যায় অঝোরে,
নরপশু পালিয়ে বেড়ায়,
পিতামাতার দায়ভারে!
যার শিক্ষায় আলোকিত হয়ে,
আলোর পিছেই ছুটছো
শিক্ষিত নও অধম তুমি-
অন্ধকার মেখে যাচ্ছো!
কষ্ট-যাতনা সইতে সইতে,
প্রাণ যায় একদিন মরে-
সৎকারেও আসেনা নরপশু,
ঘৃণ্য সে মানবের তরে!