স্থবির এ সময়ে, বিলাপ বকছি রাতবিরেতে-
কারণ জানা নেই,সময়ের হেয়ালিপনায় কবেই হারিয়ে গেছে সব কারণ-
যুদ্ধে ছিলাম,অপূর্ণতায় প্রতিক্ষার যুদ্ধে-
জানি জিতেও ছিলাম-তবুও বুক কাপছে!
ধরাবাধা সব নিয়ম অনুসৃত সুদূর পথের চিন্তায় ভবিষ্যৎ কাঁদছে-
সিথানের পাশে উদাসীন নিমগ্নতায়
দুঃখ নদের উত্থান পতন-
আকাঙ্ক্ষার পাল তোলা নৌকাগুলো সব একে একে ডুবে গেছে!
উদায়াস্ত সূর্যটার আলোতে দিন-রাতের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া!
হঠাৎ চোখের পাতায় নিগূঢ় অনুভূতির এক আলতো ছোঁয়া-
নেই তো কল্পনায়-ছুঁয়ে যাওয়া সে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজছি-
বিদায়ের ঘন্টায় শব্দ বাজার আগে-
অবুঝ দিনের গোধুলিলগ্নে তার আগমন!
বিশুদ্ধ অন্তরে স্বপনদুয়ার খুলে মুগ্ধতায় প্রবেশ!
মুহূর্তেই নিঃশ্বাসের সাথে প্রকৃতির অসীম চুক্তি!
বিশাল অন্তরীক্ষে মেঘের মিলনে সুখানুভূতির বৃষ্টিতে ভেজা!
আর গল্পের মিছিলে সন্ধ্যাতারার জয়ধ্বনি শোনার প্রবল ইচ্ছা!
অহর্নিশ ভাঙ্গা-গড়ার ব্যাস্ত শহরের; সন্ধিক্ষণে তোমাতে বন্দি হতে চাওয়া!
ব্যাকুল হৃদয় তো বুঝেনি,
মোহে আচ্ছন্নতা সমস্ত অন্ধকারের হাওয়া!
রংছটা মরিচা ধরা বিধ্বস্ত হৃদয়ে-
দীর্ঘকাল না পাওয়ার অভাব!
তাই, রক্তিম আকাশের বুকে প্রত্যাশার নির্বাণ ছুড়ছি নিয়মিত!
আঁধারে আঁকা রংধনুর সাতরঙা বিশ্বাস যে বিবর্জিত!