নিভে যাওয়া প্রদীপের সলতে পোড়া গন্ধে-নিরাশ রাত্রির গান বাজে!
নিয়ন আলোয় হলুদ খবরের পাতায়-
জীবন ছকে অনিয়ম সাজে!
পরগাছা এক শেকড়ে যেন উচ্ছসিত জলোচ্ছাসের জোয়ার-
পায়ের ধুলোয় শান্তনা মেলে- উৎসব বাধে সিক্ত বক্ষ ধোয়ার!
বোঝে না যৌবনের সে বেহাল অনুনয় কিসে মত্ত!
অসুস্থতা বোঝে না সে ক্ষতের দুঃখটা কতটা অভিশপ্ত!
দরিদ্রতায় ক্ষয়কারী মরণেও ছাড় নেই অতটুকু দুঃখবোধের যন্ত্রণা!
বোঝে না নকল মনুষ্যত্বের শান্তনা দেয়া গৌরবগাঁথা কুফল মন্ত্রণা!
অন্নবস্ত্রের বেমানান বিলাসিতায় ললাট আঁকে ওপার যাত্রাপথে-
খড়ের ঘরটায় ছাউনি ভিজে যায়,
প্রকৃতির দেয়া আঁধার ভবিষ্যতে!
থালা-বাসনে এক অভাবের রচনা-
উপসংহার নিঃসীম নির্বাকে নিনাদিত
মাঘের শীতে খড়কুটোর অঙ্গারে
জ্বলতে থাকা, ছোটলোকই প্রমাণিত!
পাতানো হাত-বিনয়ের আকুলতা,
অস্ফুট ফুলের প্রয়াণ অবশেষে-
মনুষ্যত্বের অপারগতা হায়;দিন শেষে যুগের হাল তাদের হাত ভালোবাসে!