শুয়ে আছি—
এক জাতক, সরিষা ফুলের পাশে
হলুদ আলো জ্বেলে দু'পাশে নিদারুণ আগ্রহে
পেরিয়ে যায়, আরো—আরো মিছিল;
সেভাবেই আছি, আঁকা হয়েছে ছবি দৃশ্যপটে
শুয়ে আছি—
বাসস্টপে, নিঃসঙ্গ গাছেরে দেয় যা পাখি
পেরিয়ে যায় সব— শবের উৎসব, দেখি ম্লান
উচ্ছ্বাস মিহি— দূরগামী বাস ক্ষণিক সাক্ষী
অরণ্য গহীন ডাক পাঠালে— অপার শুয়ে থাকি
—থাকার নিয়মে জগৎ সন্ধি
শুয়ে আছি—
হাইফেনে, এবার দেবে বুঝি নীলিমা অপার
প্রস্তর হয়ে আছি, দাও বরষা বিরাম—
আরো দাও স্বচ্ছল দু’টি আঁখি, তারে তুলে ধরি
দেই অতল সাঁতার—
শুয়ে আছি—
সন্ধ্যা হয়ে আসে, বাড়ে তার ছোঁয়ার অসুখ
—বুকের ভেতর একা আলবাট্রস কাতরায়
বেঁধে রাখে, বিপন্ন করে রাখে সাদা-কালোর শেকল
পড়ে থাকি— পিছে পড়ে থাকে যাবৎ যাপন
আছি, শুয়ে আছি— বিপন্নতায়
এখানে— আঁকা ছবিতে আল্পনায়
একিলিসের গোড়ালি যেনো ইকারুসের ডানায়
স্ফটিক আশায় ঠায় দাঁড়ায়
তার ভেতর— সিসিফাস হয়ে কেবলই জড়িয়ে যাই
শুয়ে আছি—
শুয়ে আছি, অন্তর আমার অনন্ত অন্নের অন্বেষণে ধায়—
৫ই ফেব্রুয়ারী ২০২২