স্মৃতির ভেতর এক প্রজাপতি উড়াউড়ি করে -
নিঃশব্দে নিঃশ্বাস ফেলে ঘাড়ে
মাঝরাতে জ্বর আসে খুব, তেষ্টা পায়
তোমারে পাই না।
দুরন্ত উচ্ছ্বাসে দৃশ্যের ভেতর থেকে দৃশ্য হারিয়ে যাচ্ছে-
একের ভিতর-  তিন থেকে সাত, সাত থেকে পাঁচ;
হারিয়ে যাচ্ছি- কোথায়?

ধরে ফেলেছি ভেবে যেই না হাঁফ ছাড়ছি উল্লাসে
মূহুর্তের ভেতর হাত ফসকে উড়ে যাচ্ছে হরিণ,
অথচ অপার সম্ভাবনায় কেউ কেউ সাজিয়ে রাখছে নিষুপ্ত আর্কেডিয়া।
ঘুমের ভেতর এক অতল কুয়া, তার ভেতর তমসা -
অচ্ছুত আলোর গতির চেয়ে দ্রুত উড়ে যায় ফড়িঙ,
কে কারে কখন ছুঁয়ে দেখতে পারে ধুলার দেয়াল ভেঙে?

তোমার - আমার, আমাদিগের দিকে রোদনের ঢেউ ভেঙে উড়ে আসে  অপ্রতিরোধ্য এক সফেদ ঘোড়া,
চোখে তার মহাকালের অন্ধকার, এঁকেবেঁকে চলে গেছে দূরে;
নিকটবর্তী শূন্য উঠোনে একাকী দাঁড়িয়ে আছে নিশুতি ডাকিনী রাত-
ক্রমশ রক্তে ছড়িয়ে পড়ছে অন্ধকার, চিরচেনা প্রাগৈতিহাসিক অন্ধকার।
ঊর্ধ্বগামী ফিনিক্সের মতো সে ছুটে চলছে সীমান্ত থেকে -
দূরান্তে, মহাকাল পেরিয়ে মৃত্যুর জড়া ভেঙে-
তারে তুমি আমি ধরতে পারি না।


১৭ই জুলাই ২০২১