তোমারে পাওয়ার ইচ্ছা জাগে, যেমন বসন্ত পায় কৃষ্ণচূড়া
শীত যেমন পায় ফুলের সুবাস, তেমন কইরা আমি তোমার সুবাসে নিজেরে মাখায় ফেলতে চাই।
সমুদ্র যেমন নদীরে পাইয়া নিজের ভেতর সবটুক অতল গুইজা রাখে যেমন তুমি একটা কোমল কৃষ্ণচূড়া রাখো কানের উপকূলে, তেমন কইরা
ঠিক তেমন কইরা আমি তোমারে চাই আমার ভেতর, তুমি অন্তর্গত হও।
রাত যেমন সারাটা সময় অন্ধকার জড়ায় রাখে, বুকের অতলে যেমন একটা নিঃশূন্য গহীন কুয়া থাকে যার ঠিকানা নিজে ছাড়া কেউ জানে না-
অরণ্যের ভেতর যেমন সুনশান নিরবতার যেমন হঠাৎ একটা অচীন পাখি সুর তোলে, তেমন কইরা শুধু তোমারেই চাই। তুমি আমারে জড়ায় রাখো। ময়লা হইলে আমারে ধুয়া তুমি শুকাইতে দেও বারান্দায়, আয়রন কইরা আমারে তুমি আবার জড়াও। কড়া কইরা ভাজো গরম তেলে, এইপিঠ অইপিঠ কড়কড়া কইরা ভাজো। খাওয়ার সময় যেনো কাটা না বাজে গলায়। যদি দুপুরের বিষণ্ণতার মতো ব্যস্ততার ফাকে হুট কইরা বাইর হইয়া যাই, বাইন্ধা রাখো শেকল দিয়া, খাঁচায় তালা মারো। বাইর হইতে দিও না।
শুধু তোমারে পাওয়ার বাসনায় জল ধাইকা ফুরুৎ কইরা উড়াল দিয়া বাইর হইয়া পড়ি। উইড়া গিয়া বসি নাগালের সবচেয়ে কাছের ডালে যাতে তোমার ছুঁইতে বেগ না পাইতে হয়। অনায়াসেই যাতে আমারে তুমি অন্তর্গত করতে পারো...আমারে নাও।
তাই আমি সবখানে থাকি, তোমার যাতে খুঁজতে যায়া হারায় যাইতে না হয়। তুমি যেই পথে যাও সেই পথের গন্তব্য ঘুরায় দেই আমার দিকে। যেই বাতাস তোমার চুল বিলি কাটার অজুহাতে সংশ্লিষ্ট দুঃখ মনে করায় দিতে চায়, তার গতিবিধি ঘুরায় দেই চরকের মণ্ডপে। তুমি হও কেবল সুখের। কেবল রৌদ্রের, কেবল জোছনার।
১২ই এপ্রিল ২০২১