কে যেনো আসে, নিরবে। প্রতি রাতে।
শিয়রে দাঁড়ায়ে চুপিচুপি কথা বলে, কানেকানে।
আমি তারে চিনি না, দেখি না, জানি না।
সে আসে, রোজ রাতে
কে যেনো আসে, শিয়রে, স্বপনে।
তার শরীরে হাস্নাহেনার গন্ধ, চন্দনী আলো পড়ে তার অঙ্গে
অন্ধকার এঁকেবেঁকে আলপনা আঁকে, স্মৃতিকথার প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী যেনো!
অথচ রোজ সে আসে...আমি তারে চিনতে পারি না।
যেনো, অন্ধকার গ্রাস করে রাহু, ছিনিয়ে নেয় দৃষ্টি- প্রেক্ষাপটের সম্মিলনে কি ভিন্নতা!
তারে দেখি? নাকি নিজেরে? জিজ্ঞেস করি, চড়ুই কেনো পোষ মানে না?
শিল্পের আবরণে সুপ্ত যে প্রাণ, সে কি সহজ? নাকি ঘুলঘুলি দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া দমবন্ধ বাতাস?
রোজ সে আসে। মুগ্ধতা ভরা ঝাপসা চোখে তারে দেখি,
জলের তরঙ্গে কী মনোরম এক দৃশ্যের জন্ম হয়
সে কেবল আমারে ভোগায়, ভাঙে, আমার ভেতর এক অচীন পাখির জন্ম দেয়
ছটফট করে সে পাখি, উড়বার চায় ডানা মেলে; দিগন্তে তার বাড়ি -
উড়বে বোলে ডানা মেলে ধোঁয়ায় উড়ায় দীর্ঘশ্বাস।
ভেতর বাড়িতে প্রাচীন ভাস্কর্যের ভেতর তার প্রাণ, সে
কেবল ভাঙতে চায়। ধ্বংসের ব্রত তার অন্তরে,
তবুও, গড়বে বলে সে প্রাণ ছটফটায়। তবুও,
সে অবয়ব অধরা গালিবের হাসি, কী এক দ্বন্দ্বের ভেতর তার বসবাস! কারাবন্দী সে প্রাণ!
সে আসে, রোজ.
তারে কেবল ধরতে পারি না। রাখতে পারি না, প্রতি রাতে।
১০ই ডিসেম্বর ২০২০