এখন মৃত্যুর অলংকারে ঘুমিয়ে আছে রাত, শরীরে ব্যথার শাড়ি মুড়িয়ে জড়িয়ে আছে নিজেকে।
ঘড়িতে সময় ৩ টা বেজে সতেরো মিনিট। নিস্তেজ চারিদিক।
শুধু উল্লাশে পিপাসা মেটাতে আসা মশারা গুনগুন সুরে তীব্র টেবিলফ্যানের বাতাসকে উপেক্ষা করে যাচ্ছে ক্রমাগত,
পয়সার অভাবে তাদের আতিথেয়তা হয়নি আজ। তারা জানে,
তাদের কোনো সাদর সম্ভাষণ নেই। তবুও পেটের দায়ে কামড় দেয় ক্ষুধার জরায়ুতে-
ক্রমাগত, ক্রমাগত, ক্রমাগত।
তাদের কোনো পরোয়া নেই, ভয় নেই, জরা নেই, আছে শুধু ক্ষুধা
মৌমাছির মতো কোনো রাণি নেই তাদের তুষ্টির অপেক্ষায়।
সুখের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পৌঁছে, অসাবধানী পর্বাতারোহীর মতো পা পিছলে মরে যাওয়ার কোনো আবশ্যিকতা নেই।
জীবিত ফেরার তাড়া না থাকলেও, কোনো আড়ম্বর বা উল্লাশ নেই-
কেবল একটা নিখুঁত সময় প্রয়োজন, শিকার লক্ষ্য করে নির্বিঘ্নে উড়ে যাওয়া প্রয়োজন
শুধু একটা সূক্ষ্ম, সুন্দর কামড় প্রয়োজন।
গলা বেয়ে উষ্ণ তরল পাকস্থলীতে পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন।
বাতাসের সাথে শরীর এলিয়ে দিয়ে ক্রমাগত উড়ে আসে,
স্রোতের বিপরীতে নয়, স্রোতকে বন্ধু করে শিকারের শিরায় বসিয়ে দেয় অব্যর্থ কামড়-
এবার হয় মৃত্যু অথবা মুক্তি।
১৯ অক্টোবর ২০২০