~

পাহাড় বুকে তুলে একা হয়ে যাই— আয়ুষ্মান
ভালো লাগে না
দিনের আলো এতো ম্লান— এতো দীর্ঘ যায়
ফেরত আসে না?
স্থাপত্যের ভীড় ঠেলে কাঁচা ঘরখানি বুক খুলে দেখাই— আয়ুষ্মান
আয়ুরেখা ধরে বাজছে বিপন্ন বেহাগমালা
যেনো এক করুণ বাবুই
হাসফাস পরাণ ছিঁড়ে যায়— আয়ুষ্মান
ঝড়ো সমুদ্র উত্তাল বায়— নহর ছিঁড়ে দীর্ঘ যায়
তারে বুকে তুলে একা হয়ে যাই— আয়ুষ্মান
ভালো লাগে না
অন্ধকার এমন সর্বগ্রাসী— সামন্তবাদী ছাই ফেলে যায়
ভীষণ পোড়ায়— আয়ুষ্মান, ভীষণ পোড়ায়
বুঁদ হতে হতে ঘুম ভেঙে ডাহুকী বিকেল
—অন্ধ বনানীর নিভৃত পথ ঘুরে বেড়ায়
তারে বুকে তুলে একা হয়ে যাই— আয়ুষ্মান
একা হতে হতে প্রতিবিম্ব দেখি আয়নায়
পাখির নীড় চোখের সীমানায় এতো অস্ফুট— যেনো
তার ত্রিবিধ বিদ্যা ধনুকের ডগায় টঙকার
তরঙ্গ ভেঙে-ভেঙে ভেঙে যায়, একা রুক্বাত—
রুকুতে কাতরায়, ফিরে যায় পুরাণ— লাইমপাশায়
সেজদা ঘন সন্ধ্যায় বেদনা বিজ্ঞ ডালিম
অবিন্যস্ত অন্তরে একা হয়ে যায়
একা হয়ে যায়— আয়ুষ্মান, একা হয়ে যায়



২১শে ফেব্রুয়ারী ২০২২