আমি মর্ত্যের ব্যধি - অনিরামেয় জাগ্রত
কোনো শুশ্রূষা নেই - কেবলই উত্তাল বান
ইটের ভাটা থেকে নিসৃত কার্বন আমার ছায়া
কালোজল - হেমলক - ধুতরা - বিষধর ফণিমনষা - আমার ছন্দে ছদ্ম
আমি প্রতিপালক ধ্বংসের, আমি - জুগুপ্সা স্বয়ং
আমি রিপুর রুপা - ব্যথিত ঈশ্বর
কেবলই আমার প্রতিরুপ - তোমাদের হৃদির অভ্যন্তরে
সদা নৃত্যরত - পূজায় - বন্দেগীতে, আমার নামে কলেমা জপে
ভূতে ভবিতব্যে চোখের কোটরে যে কালো ডাকিনী ক্ষমতায় -
নিশিথ আভ্রুতে খেলা করে, জাগিয়ে রাখে ঘুমে
দ্বান্দ্বিক শব্দের মতো ঢুকে পরে করোটির ভেতর - প্রেমের ভেতর
অমীমাংসিত সন্ধি আমি - কোনো পরিচয়ে আবদ্ধ নই
ধ্বংসের লীলাময় প্রাচুর্যে খেলাচ্ছলে খামখেয়ালি এক ডাকনাম - আমি
আমি এবং আমি। আমিময় ধুলো থেকে ঈশ্বরকণা - নার্সিসিস্ট হাওয়া
ফলের অভাবে ক্রন্দনরত হতবিহ্বল এক দূর্বল ফুলের বেহাগ
ভ্রমরের ডানা ছিঁড়ে খাওয়া মহাপতঙ্গ, আমি অদৃষ্ট
সত্যের ঊর্ধ্বে - মিথ্যার সুখময় সান্নিধ্য
বিদ্যুৎ ও পারিজাতের সীমান্তে ব্যবধান গড়ে দেই, আমি - সেই কাটাতার
ফেলানির নির্জীব চোখ
কুচকে যাওয়া বৃদ্ধার অঙ্গুলি থেকে তুলে নেওয়া শেষ আশ্বাস
ন্যুব্জ অসার এক প্রার্থনা - তেলাওয়াতের ফাঁকি
বোধের ভেতর ব্যধির বীজ - নিস্ফলা আত্মশ্লাঘা শ্রাবণে
প্লাবিত পলি-বিশ্বাস মর্ত্যের লাঙলে নিঙড়ে নিয়ে তুলে দেই প্রস্তর শীত।

রঙধনুতে এঁকে দেই কালো, নির্দ্বিধায় এঁকে ফেলি চিৎকার
পেশিবহুল বন্ধনী দৃঢ়তার মনুমেন্ট - আচমকিতে হযবরল নাব্যতায়
নদীর সুখে দু'কুল ছাপিয়ে উঠে ঢেউ, কুহেলি গ্রাস করে সর্বস্ব
আমি - প্রতিপালক ধ্বংসের।
ঘৃণার লালচক্ষুতে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে উল্লাস করি,
পাতার সবুজকে দেই হলুদ আশা - অসুখকে বাঁচিয়ে রাখি শুশ্রূষায়
রক্তের ভেতর, বোধের ভেতর -  
মীমাংসার শর্তানুযায়ী আমি মৃত্যুর চৌকাঠ


১২ ডিসেম্বর ২০২১