(প্রেক্ষাপট: আমার একজন ছাত্রীকে নিয়ে লেখা এই কবিতাটি। ওকে নিজের বোনের মতো ভালোবাসি‌। জানি না কেন ওর প্রতি এতো টান? মনে হয় আগের জন্মে ও সত্যি আমার বোন ছিল...ওকে নিয়েই লেখা এই কবিতাটি... কবিতাটি লিখতে গিয়ে চোখ দিয়ে জল বেরিয়েছে অঝোরে... আমার সৌভাগ্য! ও পড়েছে কবিতাটি...খুব ভালো লেগেছে বলেছে। তাই আপনাদের জন্য শেয়ার করলাম।)
__________________________
আবার বাঁচতে ইচ্ছে করে।
আবার মনে হয় জীবনকে সাজাই স্বপ্নের‌ রঙ্গোলি দিয়ে...
মনের খেলাঘরে অব্যক্ত আবেগের তুফান আছড়ে পড়ে অবিরাম।
জানি না কি অলীক মায়ায়;
জানি না কোন জিয়নকাঠির ছোঁয়ায় পেলাম উপহার, তোকে!
জানি না গত জন্মে কে ছিলিস আমার!
হয়তো আমার বোন, হয়তো বা কোনো পরম প্রিয় নিকটাত্মীয়...
জন্ম জন্মান্তরের গণ্ডি পেরিয়ে দেখা হলো আবার।
কখনো অজান্তেই ঝর্ণার মতো ঝরে যায় নয়নধারা... কিন্তু কেন? উত্তর খুঁজছি...
হয়তো মহা মায়া, স্নেহবন্ধন;
হারিয়ে গেছে কত প্রাণ, কত আপনজন, কত ভালোবাসা, কত স্বপ্ন।
বারবার রাজকীয় হালে বিরহ ফিরে ফিরে আসে স্মৃতির দোলনায় চড়ে।
ব্যথার সাগরে ডুবসাঁতার কেটেছে জীবনতরী 'দিবস রজনী'।
বেদনার কলিগুলো কবিতা হয়ে ঝরে পড়ে অবিরত।
তুই এলি-
স্বপ্নের ডুবন্ত জাহাজটা একটু একটু করে ভেসে উঠছে।
আশার কলিগুলো আবারো বাঁচার আশায় উন্মুখ উঠছে।
জানি না গত জন্মে কে ছিলিস আমার!
দাদার মতো আগলে রাখি যতটা পারি...
বিধির লিখনে তোর স্বপ্নগুলোর হাতেখড়ি হলো আমার হাত ধরে।
পথ চলা অনেকটা বাকি...
অনেক বড় হতে হবে, মানুষের মতো মানুষ হতে হবে, ঈশ্বর জীবন-পথে সহায় হন-  শুভকামনা নিরন্তর।
এই তমসাচ্ছন্ন সমাজটার বুকে পারলে সত্যিকারের দীপন হয়ে উঠিস।
এই দিকভ্রান্ত সমাজের চোরাস্রোত হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে যেতে চাইবে অধঃপতনের রসাতলে।
মানবতার ধ্বজা ধরে পাথরের মতো শক্ত, বলিষ্ঠ হতে হবে তোকে। প্রতিহত করতে হবে সমস্ত প্রতিকূলতার ঝঞ্ঝা।

জীবনের ডাকঘরে অনিশ্চয়তার ডাকটিকিট।
জীবনের সফর চলে আঁকাবাঁকা পথেই...
কখন যে যেতে হয়!
কখন যে কোথায় ছেড়ে যেতে হবে কেউ জানি না।
তবুও-
আমাকে ছেড়ে কখনো যাবি না তো, বোন?
আমাকে ভুলে যাবি না তো?