তোমার শহরে গিয়ে ছিলাম
একটু ঘুরে ঘুরে দেখবো বলে,

বাহ্! তোমার শহর দেখি আপাতদৃষ্টিতে সাজানো গোছানো বেশ,
তোমার ভালো থাকার জন্য সকল পণ্যসামগ্রী থোকায় থোকায় সাজানো!

আচ্ছা- কোন সে জাদুকর? যেকিনা এক নিপুণ হাতে তোমার এলোমেলো শহরটাকে বেশ করে সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছে;
মেঘাচ্ছন্ন আকাশের মতো ঘুমরোমুখা মেয়েটির মুখে হাসি ফুটিয়েছে!

কোনো এক মায়াময়ীর অস্তিত্ব খুব করে মিশে আছে
তোমার শহরের প্রতিটা কোণায় কোণায়,
তৃষ্ণিত মনে এদিক সেদিক তাকিয়ে নিজের অস্তিত্বকে অনুভব করার চেষ্টা করলাম!
নাহ, কোথাও আমার অস্তিত্বের কোন ছিটেফোঁটা নেই।

তারপর,
তোমার ক্যানভাসে এঁকে রাখা ছবিগুলো দেখলাম!
অনেকক্ষণ ধরে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলাম
কত রং, কত আবেগ, কত ভালোবাসা দিয়ে আঁকা সেসব।

আমিও কত রং দিয়ে ছিলাম তোমায় আমার জীবনের সব রং নিংড়ে
কই সেসব রং তো চোখে পড়লো না কোথাও;
সব রং কি তবে ফেলে দিয়েছো আস্তাকুড়ে?

আহা,
তোমার শহরে কত সুর বেজে যায় তালে-বেতালে
সেই সুরে আমি কোথাও আমাকে পাই না,
সেই সুর বলে যায় অন্য কারো নাম
সেই সুর গেয়ে যায় অন্য কারো গান।

শুনেছি,
তোমার শহর জুড়ে কবিতার ছন্দপতন চলে দিনে রাতে!
কবিরা এসে নাকি ভীড় জমায় তোমার শহরের অলিতেগলিতে-
আর তোমায় নিয়ে লেখা আমার কবিতাগুলো ধর্ষিত হয় মাঝরাতে!

তবে এইসব দেখে এখন আর মন খারাপ হয় না,
শুধু নিজেকে দেখে অবাক হই!
কত সহজে মিথ্যে বিশ্বাস আর অভিনয় নিয়ে আমি আজও বেঁচে আছি-