প্রিয়তা,
এটা একাত্তর, চলছে রাষ্ট্র বাঁচানোর লড়াই;
একটা যুদ্ধ, বুকে সাহস, তোমাকে ছেড়ে যাওয়ার বড়াই!
একটা পতাকা উত্তোলনের আন্দোলন এটা,
বিশ্বের মানচিত্রে আরেকটি রাষ্ট্র হবে আঁকা ।
প্রিয়তা,
আর ঘুমিয়ে থাকার সময় নেই তোমার কোমল বুকে;
নেই গল্পের পর্যাপ্ত সিলেবাস;
কিংবা অভিমানে রাগ মন্ত্র পাঠের পরিমান মত যুক্তি,
অথবা তোমার অসুখে ‘আমি’ নামক ঔষধের সঠিক ব্যবহারের রুটিন!
প্রিয়তা,
এই সময়টা আমাকে পাবার অধিকার কেবল রাষ্ট্রের;
এই সময়টা দেশ রক্ষা কিভাবে হবে সে আলাপের,
এই সময়টা স্বদেশের আহবানে নিজেকে উৎসর্গ করা,
মৃত্তিকার শপথ করে মাতৃভূমিকে পবিত্র করা ।
প্রিয়তা,
দেশটা আগে, তারপর তুমি, তার আগে কিভাবে কাঁদতে দেই জন্মভূমিকে!
রক্তাক্ত প্রতিটা রাস্তা, মিছিলের মত লাশ প্রতিটা অলিগলিতে;
প্রিয়জন খোঁজে ধর্ষিতা মাঠেঘাটে,
বাবার মৃত চোখে শিশুর রক্ত হাতের কম্পিত স্পর্শ;
গাছের ডালে ঝুলে আছে পরিবারের প্রিয় পাতাগুলো,
অর্ধ মৃত বৃদ্ধের সাহসী অংশগ্রহণ সাক্ষী দিচ্ছে;
বেঁচে থাকার ক্ষুধার চেয়ে দেশ রক্ষার ক্ষুধা সর্বশ্রেষ্ঠ দায়িত্ব ।
প্রিয়তা,
বিদায়, এটা শেষ দেখা কিংবা শেষ আলাপন;
ফিরবো দেশকে নিজের করে, অথবা দেখা হবে শফেদ কাফনে!