আমার তখন চাকরির বিজ্ঞাপন হাতে নিয়ে হাঁটার বয়স,
রোদের ব্যবহারে আমি তখন অভ্যস্থের ঘরে,
নামের পরিচয়ে আমি তখন পরিব্রাজকে;
কবিতার শহরে আমার তখন প্রথম পা ফেলা,
কোনো শহর মাড়িয়ে কেউ হাত ছুঁয়ে স্টেশন পার হতে বিনয়ী হয়নি,
আমি মানুষ খুঁজেছি মানুষের হাঁটা অনুকরণ করে কবিতায় তুলে আনতে,
কবিতায় আমি মানুষের চরিত্র তুলে ধরতে ধরতে ভুলে গেলাম নিজের ভবিষ্যত!
বাবা চেয়েছেন আমি হই আদর্শবান শিক্ষক;
এক মুঠো ভাতের লোকমা জোগাড়ে সততা চেয়েছেন মা,
আমি তাদের দেখানো পথে পা বাড়াইনি,
আমি লিখতে বসলাম মানুষের জীবন,
আমি লিখলাম একজন মুক্তিযোদ্ধার জীবনকথা;
বৃদ্ধাশ্রমে মায়ের চোখের আলো স্বল্পতা,
কৃষকদের অবহেলার রেললাইন,
যৌতুকের অভাবে বোনের ফাঁসির দৃশ্য,
বাবার ঘরে অন্যের দাপুটে ব্যবহার!
অন্যদের জীবন লিখতে গিয়ে আমার পরিচয়ে নাম দিতে পারিনি; বাধ্যগত!
শিক্ষকতার পেশায় রাখতে পারিনি বাবার আদেশ,
হয়ে উঠলাম কবি!
কবির কবিতা পড়তে পড়তে আপনিও মানুষে পা বাড়ালেন;
অথচ কবির পরিবারে তার কোনো নাম ছিলো না!