আঁধারে আলো খুঁজতে আমি হাত বাড়াই তোমার দিকে,
ছুঁয়ে দাও;
মৃত্যুর এপিটাফে দাফন হোক সমগ্র একাকীত্বের,
তারপর তোমার নিঃশ্বাসের দেয়ালজুড়ে বাঁধানো হোক আমার নাম,
চব্বিশের আপাদমস্তকে সংসারের অংকে স্পর্শের নামতা গভীরে নামুক।
সম্পর্কের পাহাড়ে সন্দেহ ভর করে ধ্বসে না পড়ুক,
একটু অভিমান হোক পরিমাপে;
অভিযোগ দীর্ঘ মেয়াদের লাইনে না হাঁটুক।
চোখের অশ্রু মুছতে তোমার দিকে তাকাই,
তোমার বাদামি চোখে চোখ মেলে ধরি;
ক্লান্ত চোখের পাতার অসুখ সেরে উঠে,
তোমার খোঁপার সংসারে আমার স্পর্শ বৈধ জেনেও-
আমি অপেক্ষায় থাকি তোমার ইচ্ছে অনুমতির!
এভাবে একটি সংসার লিপিবদ্ধ আমাদের নামে;
আমরা ভালো থাকি দূরত্ব এড়িয়ে,
পথ চলার মাইলে অভাবকে রোগ হিসেবে প্রেসক্রিপশনে রাখি না,
আঙ্গুলের ভেতর আঙ্গুল রেখে সম্পর্কের আরেকটা দিন গণনা করি;
এভাবে আমরা বেঁচে থাকি,
ক্যালেন্ডারের আরেকটা বছর মরে যায়,
আমাদের মুষ্টিবদ্ধ হাতে আরেকটা হাত ভাগ বসায়,
আমাদের পরিচয় আসে তার অস্পষ্ট ডাকে;
তারপর বিশুদ্ধ উচ্চারণে আমাদের নাম হয়; 'পিতা-মাতা।'