রাতের বর্ণকে মুঠোবন্দি করে ঘুম উড়াতে গেলে;
আমাকে চেপে ধরে একাকীত্ব,
মৃত্যু রোগে আমি ডুবতে থাকি,
আমার ভেতরে হাঁটতে থাকে দুশ্চিন্তা;
বালিশের বুকে ঠাঁই খুঁজি আরেকটা ভোর চোখে ভাসার,
শেষরাতের সড়কে থেমে যায় চোখের পাতা,
ক্লান্তিতে অবসর নামে সে বেলায়,
ঘুমের দরজা খুলতেই চেপে ধরে হতাশা,
হাতের আঙুল গুনে নিজের ভাগ্যে ব্যস্ত হই,
তারপর হাসিমুখের মিথ্যে অভিনয়ে দিন কেটে যায়,
মায়ের চোখের পাতায় তাকিয়ে দেখি;
আমি ভালো নেই,
বাবার ব্যবহারে খুঁজে পাই-
আমার ভেতরে সুখের কোনো জানালা নির্মাণ হয়নি,
বোনের পড়ার টেবিলে চোখ পড়লেই বুঝি;
সংসারের জটিল সমীকরণের না কষা অংক!
বেঁচে থাকি;
হেঁটে চলি আরেকটা দিনকে বলতে;
গতকাল আমার সুখে অভাব দেখা যায়নি,
অথচ;
আজ আমি বেঁচে আছি অসুখের ট্রেন মাথায় নিয়ে!