মায়ের আঁচল ভিজিয়ে ডুবে গেলাম বিষাদের সংসারে;
মানুষের ঘৃণ্য চোখের উপেক্ষার দরজা ডিঙিয়ে;
ক্ষুধাতুর বেঁচে থাকার ইচ্ছেকে চিবিয়ে খেয়ে,
প্রতিবেশীদের কটাক্ষ উপদেশের পাতায় নিজের নামের বিজয় দেখে;
বেওয়ারিশ প্রতিবাদে থেমে গেলো আরেকটি নিঃশ্বাস; ছায়াযুক্ত ঔষধের অভাবে ।
ব্যর্থতার দেয়াল টপকানোর পিঠে চেপে বসে কানকথা,
বিষয়বস্তুর তুলনায় তুলে ধরে ক্ষত পৃষ্ঠা;
শান্তনার গ্লাসে মিশানো হয় মেয়াদহীন স্যালাইন,
তারপর এই সমাজ মনে করিয়ে দেয় ট্রেন আসার সঠিক সময়; বেঁচে থাকার হুইসেল বাজার রেখায় ।
অবহেলার চাদরে মুক্তির ঠিকানায় ডাকে;
ক্রোধ ।
চিন্তার বৃত্তে ঘুরতে থাকে আত্মহত্যার উত্তরপত্র;
স্বপ্নগুলো আর দক্ষ হতে পারে না নাবালক প্লেটে,
নাগরিক হয়ে উঠা হয় না একচোখা মলাটের সমাজে,
বাবার ফ্যাকাশে ব্যবহার অপরাহ্নের মতো উঁকি মারে,
পরিচিত মুখগুলোর খোঁচানো উক্তি হ্নদয় ধর্ষণ করে!
তারপর থেমে যায় হিসেবের যান্ত্রিক শব্দ;
কৈফিয়তের ব্যালকনিতে ঝুলে থাকে একটা বোবা উদাহারণ,
তবুও একটা পরিবার বুঝতে পারে না;
মিশুক লোকদের খোঁচানো বর্ণমালা,
সম্পর্কের ভাঁজে কিভাবে ঢুকিয়ে দেয় প্যাঁচালো অভিধান ।