অচেনা বটবৃক্ষ
কবি, তুমি যেন এক অচেনা বটবৃক্ষ
যার শেকড়ের গভীরে জমে থাকে কালো মাটি
সে মাটি থেকে জন্ম নেয় প্রতিটি ডালপালা
ছুঁয়ে দেয় আলো, ছুঁয়ে দেয় আকাশ।
তোমার ছায়ায় আশ্রয় নেয় কত শত ক্লান্ত পথিক
তারা জানে না, কেমন দহন জ্বলেছে তোমার শাখায়
তোমার পাতায় পাতায় ছড়িয়ে থাকে নিরবধি প্রতিজ্ঞা
প্রতিটি কাঁপা পাতায় লেখা থাকে মুক্তির গান।
তুমি কেবল বটগাছ নও, তুমি এক সাহসী উল্লাস
যার কান্ডে, যার শিরায়, লুকিয়ে থাকা চুপচাপ সংগ্রাম
হয়তো কেউ শোনে না, হয়তো কেউ বোঝে না—
তোমার শিরে ঝড় উঠলেও তুমি অটল, অবিচল।
তুমি নিজের জন্য দাঁড়িয়ে থাকো না
তুমি দাঁড়িয়ে থাকো ঝড়ের পরও
অন্যদের ছায়া দিতে, বাঁচাতে সূর্যের তাপে;
তোমার পরিচয় হয় না, পরিচয় হয় কেবল কাজের,
কেবলই ছায়ার— তুমি তবুও পরম নিবিড়।
তুমি এক অজানা পথের পথিক, এক নিঃশব্দ বিপ্লব
যার শব্দে স্পর্শ পায় মাটি, স্পর্শ পায় আকাশ;
তোমার এই নির্ভীক পদক্ষেপের চিহ্ন রেখে যাও,
সময়ের মাটিতে— এক চিরন্তন ছায়ার মতো।