সাম্যের বাণী গেয়ে, আমরা চলেছি দীর্ঘকাল,
কিন্তু ন্যায়বিচার এখন হাসছে, নিঠুর খেয়াল
মানবতার ডাক, কে'ই বা শুনেছি কবে?
কঠোর শৃঙ্খলে বন্দী, আমাদের নিথর শরীর।
সত্যের আকাশে মেঘ, মিথ্যার ছায়া ঘিরে
বিপন্ন মানবতা এখন, হাহাকার করে চিরে
যেখানে অশ্রু ঝরে, মাটির গায়ে কালি,
অবিচারকের হাসি-শব্দে, ত্রস্ত বিশ্বকালি।
সাম্যের রাজ্যে, এ কেমন বিভাজন?
ধনীদের সিংহাসন, ভাগ্যান্বেষী গরিবের দুর্দশা!
একটি ভিখারির হাত, আরেকটি সাম্রাজ্যের কল,
অতীতের মহা গৌরব, বর্তমানে হতাশার ফল।
মানুষ মরে, অলিতে-গলিতে নালিতে পড়ে,
একা একা লড়াইয়ে, সভ্যতা কি আর ফেরে?
বিচারকার্যের রায় যেমন, ধর্মের নামে অধর্ম খেলে,
ন্যায়-অন্যায় সব মিলে, আঁকা হয় নিরব তেলে।
সাম্যের পাঁজরে, বিন্দুমাত্র কষ্টের চিহ্ন নেই,
মানুষের আস্ফালনে, কেবল অসহায় বাঁচে
কোথায় মানবতা, আর কোথায়'ই বা ন্যায়?
এ কী গান গায়? অবিচারীর দখলে জয়!
দাঁড়াও হে দুর্বল, দাঁড়াও, বাঁধো সুরের প্রহর,
অবিচারের বিরুদ্ধে, লড়াইয়ের চেতনা জাগর
কাঁধে কাঁধ রেখে, সকলে মিলে গড়ি নতুন পথ,
সাম্য, ন্যায়, মানবতা, চাই-দিনবদলের হাত।