এই দেশের আনাচেকানাচে... হাতুড়ে চিকিৎসক,
মানে? সর্ব রোগের বিশেষ অজ্ঞ ডাক্তার!
এদের হাতে কোনো রোগের দাওয়াই নাই,
অথচ, রোগীরা মুড়িমুড়কি ভেবে গুলি খায়,
এদেরই পরামর্শে!
প্রতিটি হাসপাতালেই রোগাদের ভিড়
অসংখ্য মানুষের ভিড়!
উৎকৃষ্ট ঔষধ নেই, তবে শতশত টেস্ট আছে,
অলৌকিক কথার খেলা আছে;
এটা তো ভুল পথে হাঁটার এক নাটক—
এখানে মৃত্যুভয়েরোগী বিমর্ষ
কিন্তু, চিকিৎসক খিলখিলিয়ে হাসে!
এটা তো ধোঁকার উৎকট শিরোনাম,
উন্নত চিকিৎসা নামক ভ্রান্তিবিলাস!
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা একটি ভাঙা পেন্সিল
যতটুকু লিখবে, ততটুকুই ছিঁড়ে যাবে।
এখানে বিদ্যালয়ের গেট বন্ধ
যার ভেতরে শুধুই অন্ধকার
শিক্ষকরা মুখে মুখেই বড় বড় বুলি ঝাড়েন
ওদিকে তথ্যভাণ্ডারে হাবুডুবু খেতে খেতে
শিক্ষার্থীরা তথ্যের ধোঁকায় পথ হারায়।
এটা তো ভুল শিক্ষা,
যেখানে জ্ঞান নেই, মেধা বিকাশের ন্যুনতম সুযোগ নেই
সেখানে বইয়ের পাতা যেন একেকটা মরা গাছ।
এদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা
দুই পার ভাঙা সেতুর মতন
যতই আগে বাড়ো, ততই পথ হারাও।
এখানে রাস্তায় কোনো সংকেত নেই
এবং কোনো গাড়িও চলে না,
সিগন্যালের কত-শত অজানা অদ্ভুত শব্দ
এটা তো একটি অদৃশ্য দুনিয়া,
যেখানে সর্বক্ষেত্রে ধোঁকার খেলাই চলতে থাকে।
এদেশের খাদ্য?
নিষিদ্ধ রাসায়নিকের অবাধ মিশ্রণ-
যেখানে পুষ্টি নয়, উৎপাদিত হয় বিষের ঝাঁপি,
এখানে হাভাতে মানুষ পেট ভরায় ঠিকই
কিন্তু, শরীরে শক্তি আসে না
ওরা হারিয়ে ফেলেছে প্রজনন ক্ষমতা
এরা তো এখন শুধুই পৃথিবীর খোলস
এখানে স্বাস্থ্য নেই,
লোকেরা দেদারসে গিলছে বিষের রেসিপি,
খাদ্যের মধ্যে পুষ্টির কথা মানেই "পুষ্টির ধোঁকা!"
এদেশের আইনের শাসন কেমন?
সে-তো একটি ভাঙা মোমবাতি,
যতই জ্বালো, ততই আলো কমে যায়!
এখানে আইন কেবলই একটি ছেঁড়া কাগজ,
যতটুকু স্বাধীনতা, ততটুকুই অবাধ্যতা।
এটা তো এক অসাংবিধানিক রাজত্ব,
যেখানে শক্তি আর অধিকার একে অপরের শত্রু,
সত্যি বলছি, এটা আরেকটা ভয়ংকর খেলা!
যেখানে আইন চলে না, শুধুই শক্তির খেলা চলে।
এই দেশে সব কিছু, সবকিছুই এলোমেলো,
এর পুরোটাই একটি বিরাটকায় ধোঁকার মঞ্চ—
যে যেখানে যতই বলুক, "সব ঠিক আছে",
চোখ মেলে দেখুন, কোথাও কিছুই ঠিক নেই!
এটা তো অন্ধকারের মঞ্চে চলতে থাকা একাঙ্কিকা।
এখানে শুধুই ধোঁকা আর ভুল—
এটা তো এক অদৃশ্য যুদ্ধক্ষেত্র
যেখানে মানুষ কখনোই জেতেনা,
শুধুমাত্র,
নিরন্তরের পথেচলা এক ভ্রান্তির খেলা!