সীমান্তের কাঁটাতারে লেগে থাকে রক্তবিন্দু
প্রতিটি বিন্দুতে লেখা এক একটি নাম, এক একটি জীবন। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে মানুষের প্রাণ যেন শুধুই একটা সংখ্যা, পরিসংখ্যানের খাতায় লিখে রাখা নিঃশ্বাসহীন নাম। বিচারহীন মৃত্যুর এই নীল রঙের ক্যানভাসে আঁকা হয় লাল রক্তের চিত্রকলা, যেখানে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতই যেন সবকিছুর শেষ কথা।
কে দেয় এই অধিকার? কে ঠিক করে কারোর জীবন বা মৃত্যু? সীমান্তের ওপার থেকে ছুটে আসে গুলি, গুলির শব্দে কাঁপে ভয়ার্ত শিশু, নির্বিচার আঘাতে নিস্তব্ধ হয় জীবনের স্পন্দন, আরও একটি লাশ পড়ে সীমান্তের মাটিতে,
রক্তে রঞ্জিত হয় নদীর জল, কাঁদে বাতাস, কাঁদে প্রকৃতি, কিন্তু, নীরব থাকে মানবতা।
শতবার প্রতিবাদ করি, তবু শুনে না কেউ। আমাদের কণ্ঠরোধ করে দেয় ক্ষমতার কাঁটাতার। তবুও থামি না, থামবো না...
যতদিন সীমান্তে রক্ত ঝরবে, ততদিন আমাদের কণ্ঠে থাকবে প্রতিবাদের জ্বালা। আমাদের চোখে থাকবে সত্যের পিপাসা। আমরা জিজ্ঞেস করবো—কেন এই নির্মম মৃত্যু, কেন এই নীরবতা?
আমরা চাই, এই নিরপরাধ হত্যাযজ্ঞের শেষ হোক। সীমান্তে বয়ে যাক শান্তির সুবাতাস। মানবতার জাগরণ হোক, বন্ধ হোক এই সীমাহীন বর্বরতা। মানুষের জীবন ফিরুক তার নিজস্ব মর্যাদায়, মৃত্যুর ভয় মুছে যাক হৃদয়ের সবকটা অলিন্দ থেকে।
সীমান্তের আর্তনাদ আর সহ্য করা যায় না—
এবার মানুষ জাগুক, জাগুক পৃথিবী।