বটবৃক্ষ দাঁড়িয়ে আছে—মাটি আঁকড়ে ধরে,
শেকড় ছুঁয়েছে রক্তের ধারা, লাল মাটির রূপে।
ওরা আসে, কুড়াল হাতে, কেটে ফেলতে চায়,
তবু জানে না, এই গাছ কি সহজেই মরে যায়?

ওরা বলে, "ইতিহাস ভুলে যাও, নতুন বৃক্ষ রোপো!"
কিন্তু কীভাবে ভুলবে? শেকড় তো মাটির রসেই ভিজে।
ত্রিশ লাখ পাতা ঝরে পড়েছিল একদিন,
তাদের রক্তে শেকড় আজও জ্যান্ত—তুমুল বেদনায় কাঁদে।

ওরা চায় শিকল পরাতে, বটবৃক্ষের ডালে,
"মুছে দাও মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর কথা ফেলে।"
কিন্তু বাতাসে যখন শ্বাস নেয় পাতা,
তখনও বাজে জয় বাংলার মন্ত্র, জেগে ওঠে আত্মা।

ওরা কুড়াল চালায়, তবু গাছটা রক্ত ঝরায় না,
ওরা জানে না, এ বৃক্ষ শেকড়ের গহীনে থাকে,
বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে শেকড় জেগে ওঠে দুর্নিবার,
পতাকা উড়ে, সবুজ পাতায় লাল সূর্যের বার্তা।

শকুনেরা আকাশে উড়ে, কিন্তু ছায়া তাদের ছুটে যায়,
এই গাছের ছায়ায় মাটি আর মানুষ মিলে হয় একাকার।
যতখুশি তোমরা ছুরি চালাও, কিন্তু মুছে ফেলতে পারবে না,
এ গাছের শেকড় চিরকালীন, এ গাছ অক্ষয় অমর।

তোমাদের ষড়যন্ত্র বালুর বাঁধের মতো ভাঙবে,
এই গাছের প্রতিটি পাতায় লেখা আছে মুক্তির ইতিহাস,
এ গাছ মরে না, এ গাছ থেকে জন্ম নেয় নতুন স্বাধীনতা—
যে স্বাধীনতা কাটতে চাও, তাতে তোমার হাতে ফুটবে কাঁটা।