আজকের দিনে, মানে হাসিনার জন্মদিনে,  
বাঙালি নদী যেন বয়ে যাচ্ছে জোয়ারের বদলে,
হিমশীতল এক স্রোত, কোথাও কোনো উচ্ছ্বাস নেই!
মাঝে মাঝে স্রোতের মধ্যে সূর্য আসে, তবে সেটা শুধুই এক জ্বলন্ত প্রতীক,  
যার আলো, একসময় জনগণের জন্য ছিল, এখন তা কেবল রাজপথে ছিটানো এক টুকরো অন্ধকার।  

যেখানে হাসিনা ছিল এক জাহাজের নাবিক,  
যাত্রা শুরু হয়েছিল নির্দিষ্ট বন্দরে পৌঁছানোর জন্য,  
তবে সে জাহাজে অবৈধ টিকিটের কিছু সহযাত্রী ছিল,
যারা মনে করেছিল তারা উঁচু শ্রেণি—
যারা আত্ম অহামিকার স্রোতে ভর করেছে, আর___
জাহাজ ভাসাতে গিয়ে নিজস্ব বেদনায় ডুবে মরেছে!  

সেই জাহাজের গেট খুলে বেরিয়েছিল, কিছু দুর্বৃত্ত,  
ওরা শুধুই সোনালী স্বপ্নের কথা বলেছিল
কিন্তু বাস্তবে এরা ছিল দুর্নীতির মহান স্রষ্টা,  
যারা এক এক করে বন্দরের মেঘের গোপন ছায়ায় আড়াল হয়ে গিয়েছে,  
অথচ জাহাজের গতি বদলে যেতে পারে, ওরা কখনোই ভাবেনি!
যদিওবা একদিন কিছু সাহসী যাত্রী চিৎকার করে বলেছিলেন,

"এটা অন্য পথ, অন্য গন্তব্য, ও পথে যেওনা!"  
হায়, কী দুর্ভাগ্য তার, তিনি শুনেও শোনেননি!

সেই গন্তব্যের পথে এসে, আরেকদল যাত্রী বিশ্বাস করেছিল,  
"আমরা এটা রুখে দাঁড়াবো, সংগ্রাম করলেই মুক্তি পাবে দেশ!"  
যাদের হাতে ছিল অদৃশ্য দড়ি,
যেটি হয়তো কোনো শত্রুই তাদের মাথায় বাঁধছে...
হাসিনার জাহাজের মতোই,
তারাও এগিয়ে চলে, সে পথেই!
এক নতুন জাহাজ
এক নতুন নাবিক, নতুন স্বপ্ন
তবুও, সেই পুরনো দুঃস্বপ্নের ছায়া ধরে ঘিরে,  
আরেক নতুন শক্তি এসে এবার এদেরই সরে যেতে বলে,
হুংকার দিয়ে বলে, "অন্যদের খেয়ে নাও শকুনের মতো!"

এখন?
সবার চোখে একই প্রশ্ন—  
আমরা কি এগিয়ে যাবো, নাকি শুধুই ক্ষমতার স্রোতে হাবুডুবু খাবে এই দেশ?  
তারাও কি হাসিনার মতোই কেউ, যারা একই পথে দাঁড়িয়ে?
নাকি আবারও সেই পুরনো "যুদ্ধ" খেলা শুরু হবে—
যেটি শুধুই পেছনে ফিরে যাওয়ার গল্প বলবে!
ক্ষমতার কালিতে লেখা হয় বিকৃত ইতিহাস,
যা সময়ের সাথেই মিলিয়ে যায়,  
অগত্যা, সামনে ঘোর অন্ধকারের নোংরা খেলা,
যা বাঙালির মুক্তির প্রলাপকে মুছে দেবে চিরতরে!  

আজ,
মানুষ যখন বলে,
"আমাদের অধিকার ফেরত চাই!"  
হতভাগ্য আমি, নির্বাক দাঁড়িয়ে রই;
মুক্তির তরী যেন ফেলে দেওয়া রশির মতো,  
শক্তির ঝাপটায়, অলাতচক্রে ঘুরপাক খায়
যেখানে কিছু উঁচু শ্রেণির নৌকো বিলীন হয়ে যায়—  
আর সেই নদীর স্রোত, কেউ দেখে না, কেউ জানে না,
তবে নিঃশব্দে, শকুনের রংধনু এঁকে যায়...