মাটির নিচে শুয়ে শুয়ে ওরা শোনে
প্রতিবাদী পায়ের শব্দ, থমকে যাওয়া শ্বাস,
ওরা শোনে ক্ষোভের গান—
বাতাসে ভেসে আসে হাহাকার, বেদনাবিধুর রাগিণী।

সেই কবে ভাঙা বুকের রক্তে বুনে দিল
স্বাধীনতার বীজ,
তবুও কেন এই বর্ণমালা আজ বিষের তরে ঝরে,
রক্তে ভেজা ধূলিমাটি কি শুধু স্মৃতির মালা বয়ে বেড়াবে?

হায়েনাদের থাবায় ইতিহাস হয় কালো,
মুছে যায় সূর্যের রোদে লেখা সেই সুরের কাব্য,
সোনালী ফসলের মাঠে দাঁড়িয়ে আজ
বিধ্বস্ত মা-বোনের আর্তি, ব্যথা আর অভিশাপ।

আমার বুকের রক্তে লেখা সে গল্প—
জীবনের বিনিময়ে কেন হার মানবে?
যে পায়ের তলে পিষ্ট হবে সব মিথ্যের মোড়ক,
ওঠে দাঁড়াও, ফিরে আসুক সেই আদিম চেতনার শপথ।

আমার শিরা, আমার রক্ত, আমার মুক্তির গান
ফিরে আসবে প্রতিধ্বনি হয়ে—
বেঁচে থাকবে একদিন রক্তের দাম
শুধু স্মৃতির ছায়ায় নয়,
জীবনের জ্বলন্ত বেদিতে।